বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র আইন মামলায় রায় সোমবার (১২ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে। ঢাকার ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপক্ষ অস্ত্র মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চায়।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তিতর্কে এ আর্জি জানানো হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে র্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে আটক করে।
তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, সাতটি পাসপোর্ট, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। এবং নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। পরে আদালত এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২৪ আগস্ট আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়।
গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এ মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই বেশি পরিচিত। এ নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন বিভিন্ন ব্যক্তিদের।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দু’টি মামলা হয়।
১২ অক্টোবার, ২০২০ at ১১:০৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এফএস/ইইই