কোটচাঁদপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ: দুই মাসেও আটক হয়নি ধর্ষক!

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে দৃষ্টি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ২য় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রায় দু’মাস পার হলেও ধর্ষক এখনও গ্রেফতার হয়নি। এদিকে এ মামলায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ আদালতে চার্জশীট প্রদান করেছে। কিন্তু আসামী পক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত ভিকটিমের পরিবারকে নানারকম ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। মামলার বাদী ধর্ষিতার মা নুরজাহান খাতুন ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাদী নুরজাহান নিজ ঘরে শুয়ে ছিলেন। সেই সময় তার দৃষ্টি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছোট মেয়ে বাড়ীর উঠানে হাটাহাটি করছিল। এ সময় প্রতিবেশী রাজাপুর গ্রামের মৃত জব্বার মোল্ল্যার ছেলে সোনা মোল্লা (৭৫) বাড়ির উঠানে আসেন। এবং চুপিসারে মেয়েটিকে তার কাছে ডাকে নেয়। এক পর্যায়ে সোনা মোল্লা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশের বাগানের ভিতর নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে এজাহার নামীয় স্বাক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ধর্ষক পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর স্থানীয় মেম্বার আব্দুল আলিমসহ স্থানীয়রা বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। কিন্তু দরকষাকষির কারণে মীমাংসার উদ্যোগ ভেস্তে যায়। পরবর্তিতে গত ৮ আগষ্ট কোটচাঁদপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৩। তারিখ: ০৮.০৮.২০২০।

ঘটনার ৫ দিন পর (৯ আগষ্ট) ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। মামলাটি এজাহার হিসাবে গণ্য হওয়ার পর কোটচাঁদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর শেখ আনোয়ার হোসেনকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রায় ২ মাস পরে এ মামলায় চার্জশীটও প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রভাবশালী আসামী সোনা মোল্ল্যার ছেলে হোসেন (৫৪) ও জহির (৩৫)
মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।

তারা বাদীকে যে কোন মূল্যে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করবে বলে জানায়। এ ঘটনায় বাদী তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলাও করেছেন। কিন্তু আসামীদের হুমকি ধামকি অব্যাহত থাকার কারণে নুরজাহান খাতুন তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন। বাদীর অভিযোগ পুলিশ আসামী গ্রেফতারসহ হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে এমন হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ প্রশাসনের আশু সহায়তা কামনা করেছেন।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শেখ আনোয়ার হোসেন জানান, সঠিক তদন্ত করে এ মামালার চার্জশীট দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। তবে আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।