অটোরিক্সায় এলপি গ্যাসের বিপজ্জনক ব্যবহার, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সিএনজি চালিত তিনচাকার অটোরিকশায় অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে বাসা-বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাস। এতে সিলিন্ডার বিস্ফারণে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার সরেজমিনে বিভিন্ন অটোরিকশা স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় একটি পাইপ দিয়ে এলপিজি সিলিন্ডারের মুখে ভাল্ব লাগানো ক্যাপ এঁটে সিলিন্ডার উল্টে, সেই পাইপের সাথে সিএনজি সিলিন্ডারে একই ভাবে ক্যাপ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় এলপিজি সিলিন্ডারের ক্যাপ খুলে দেয়ার সাথে সাথে নিমেষেই গ্যাসে ভরে যায় সিএনজি।

এসব সিলিন্ডার চালকের সিটের নিচে এবং যাত্রীর সিটের পেছনে ক্যারিয়ার বিহিন উন্মুক্তভাবে রাখা হয়েছে। এ জাতীয় পরিবহনে সিএনজি ব্যবহার অনুমতি থাকলেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের অনুমতি নেই। এ উপজেলার পৌরশহরে কমপক্ষে ৫টি অটোরিকশা, পাগলু স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক প্রায় ৫শ’ অটোরিকশা বিভিন্ন সড়কে যাত্রী পরিবহন করে এবং এছাড়াও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলা-উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার অটোরিকশা, পাগলু, সিএনজি বীরগঞ্জের মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে চলাচল করে অটোরিকশার সিলিন্ডার প্রকারভেদে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় কিনতে হয়।

এতে গ্যাস রি-ফিলিং করলে এক চতুর্থাংশ বাতাস থাকলেও সিলিন্ডারটি নিরাপদ থাকে। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যত্রতত্র ৭৫০ টাকাতেই কেনা যায় তাতে বাতাসের পরিমাপ থাকে না। এলপি গ্যাস সহজলভ্যতার কারণেই এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে আর যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকিও বাড়ছে। এব্যাপারে সিএনজি চালকরা বলছেন, প্রতিদিন বীরগঞ্জ-দিনাজপুর মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি সিএনজি চলাচল করছে। এ ব্যাপারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও নজরদারী প্রয়োজন।

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১৭:১৩:৩৩ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/পিআরজে/এনআফটি