সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা শাহিনুর কাউকেই তোয়াক্কা করেন না!

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিনিয়ত সাধারণ গ্রাহকের সাথে অসাদচরণ এখন তার নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার। কখনো কখনো তিনি গ্রাহকদের সাথে মারমূখি আচরণও করছেন। তার অসাদচরণের বিষয়ে শাখা ব্যবস্থপাককে অবহিত করেও কোন ফলোদয় হয়নি। বরং বাধাহীন ভাবেই তিনি গ্রাহক হয়রানী করে চলেছেন।

অভিযুক্ত শাহিনুর রহমানের বাড়ি শহর সংলগ্ন উপজেলার কাগমারী গ্রামের মোল্লা পাড়ায়। বর্তমানে তিনি পৌর শহরের হাসপাতাল পাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যে কারণে তিনি সাধারণ গ্রাহকদেরকে তোয়াক্কা করছেন না।

অভিযোগ রয়েছে, বৃহস্পতিবার (০৩সেপ্টেম্বর) সকালে জনৈক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে যান। গ্রাহক বিদ্যুৎ বিলের কপি জমা দেওয়ার সময় টাকা বের করতে সামান্য বিলম্ব হতেই বেয়াদব বলে ধমক দেন। ঘটনার সাথে সাথে উক্ত গ্রাহক বিষয়টির জোর প্রতিবাদ জানালে সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) শাহিনুর রহমান মারমূখি হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টির সম্মান জনক সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বিষয়টি শাখা ব্যাবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলামকে জানালে তিনি বলেন, শাহিনুর রহমান স্থানীয় লোক। এইজন্য একটু আধটু দাপট দেখিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই শাহিনুর রহমান মহেশপুর শাখায় চাকুরীরত অবস্থায় ব্যাংকের ভিতরে গ্রাহকদের সাথে হাতাহাতি করার মত ঘটনাও ঘটিয়েছেন। এমনকি কম বয়সী থেকে বৃদ্ধ বয়সী সবার সাথেই করেন ঊর্দ্ধত্তন আচরণ।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ঝিনাইদহের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) দীপেন্দু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শাহিনুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও সাধারণ গ্রাহকের সাথে অসাদচরণের অভিযোগ রয়েছে। আমি তাকে সাবধানও করেছিলাম। তবে আবারও যখন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে ক্ষেত্রে বিষটি নিয়ে নিশ্চয়ই আমি ভাববো।

০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২২:০১:১৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমআর/এনআফটি