কুড়িগ্রামে ২৪টি  স্থানে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ডাম্পিংয়ের কাজ অব্যাহত

কুড়িগ্রামে বন্যা শুরু হবার পর ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধ কুমার নদীর অববাহিকার ৩৫টি স্থান ভাঙ্গন প্রবণ হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বালূ ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে ২৪টি স্থানে জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।

সুত্রটি জানায়- কুড়িগ্রামে ভাঙ্গন প্রবণ ৩৫টি এলাকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাঙ্গন প্রবণ এলাকাগুলি হচ্ছে- তিস্তা নদীর অববাহিকায় বিদ্যানন্দ, কালীরহাট, গাবুর হেলান, গুনাইগাছ, বজরা ও কশিমবাজার; ধরলা নদীর অববাহিকায় মোগলবাসা, জয়কুমার, বাংটুরঘাট, সারডোব ও কালোয়া; ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় কাচকোল, ফকিরের হাট, কর্ত্তিমারী ও সাহেরব আলগা; দুধ কুমার নদীর অববাহিকায় নুন খাওয়া, খেলার ভিটা ও মুড়িয়ার বাজার।

সুত্র আরো জানায়- বর্তমানে নদীতে পানি বেশি থাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা খানিকটা কম রয়েছে। নদীর পানি কমে যাবার সাথে সাথে নদীতে স্রোতের তীব্রতা বাড়বে আর তখনই নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করবে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

আরও পড়ুন :
স্বাস্থ্যকর হজমক্রিয়ায় সকালে ৫ খাবার
কয়েন থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কতটা?
কৃমির যন্ত্রণায় ভুগছেন? সহজেই মুক্তি মিলবে আট ঘরোয়া উপায়ে
ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে জামরুল
যেসব কারণে দেরিতে চার্জ হয় ফোন

এদিকে বন্যা, করোনা এবং অর্থ ছাড় না হবার কারণে ৩শ’ ২ কোটি টাকা ব্যয়ে চিলমারী থেকে উলিপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের এপারে তীর সংরক্ষণের কাজ এবং ৪শ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে রৌমারী থেকে রাজিবপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। দু’টি প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকার কাজ করা হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এক টাকাও ছাড় হয়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের মাথায় হাত পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলামের সাথে বন্যা ও নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান- এবারের বন্যার গতি প্রকৃতি একটু অন্যরকম। বন্যা পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষনিক নজরদারী রেখেছি এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তবে বড় সমস্য হয়ে দাড়িয়েছে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার বিষয়টি। ৭শ’ ৮১ কোটি টাকার দু’টি বৃহত্তম প্রকল্পের বিপরীতে ৬৫ কোটি টাকা ছাড়ের আশ্বাস পেয়ে আমি ঠিকাদারদের মাধ্যমে ৭০ কোটি টাকার কাজ করিয়ে নিয়েছি। সেখানে ৬৫ পয়সাও ছাড় পাইনি। এসব বিষয় নিয়ে দারুন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে রয়েছি।

জুলাই ২৭, ২০২০ at ১২:১২:১৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এজিএল/এমএআর