ফেসবুকে হয়রানির স্বীকার ঠাকুরগাঁওয়ের ইউপি চেয়ারম্যান

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের মুনিষগাঁও গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে আজাদ আলী মাসখানেক যাবত  গণযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। যা কোন ভাবেই  সত্য নয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম গত ২৮ মে রাতে রাণীশংকৈল  একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এবং অভিযোগের কপি পরদিন ২৯ মে প্রেসক্লব সহ বিভিন্ন জায়গায় দেয়।

চেয়ারম্যানের অভিযোগে জানা যায় ,  ‘মুনিষগাঁও গ্রামের আজাদ আলী  মাস খানেক ধরেই তার বিরুদ্ধে গনযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মানহানিকর  মিথ্যা, বানোয়াট, তথ্য প্রচার করে আসছেন। এতে সাধারণ মানুষের কাছে সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তিনি এর তদন্ত পূর্বক শাস্তি দাবি

এছাড়াও আজাদ আলী গত বুধবার সকালে সরকারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের  রমজান আলী নামে এক ব্যক্তি মকবুল মেম্বার সহ আজাদ আলীর বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শত কাঁঠালসহ একটি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এমনকি গাছ কাটার অপরাধে তাদের বেশ ক’জনের নামে অভিযোগ দেন  ঐ গ্রামের  রমজান আলী।

রমজান আলী তার অভিযোগে  বলেন, বাড়ির ঘরের সাথেই রাস্তার পাশে প্রায় ১৫ বছর আগে একটি কাঁঠাল গাছ তিনি।  দীর্ঘদিন  কাঁঠাল গাছটি লালনপালনসহ  কাঁঠালও খেয়ে আসছিলেন। কিন্তু গাছটি রাস্তার সাথে থাকায় সরকারের দখলে চলে যায়।

আরো পড়ুন:
সারাদেশে আজ ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জয়পুরহাটে ঝড়ে ৫৫ লাখ টাকার ফসল নষ্ট, গৃহহীন সাড়ে ৩ হাজারের অধিক

জানা যায়, রমজান আলী মাঠে কাজ করতে গেলে আজাদ আলীর চাচা ইউনিয়ন সদস্যের সহযোগিতায়  রাস্তায় চলচলের সমস্যা দেখিয়ে ২৭ মে বুধবার সকাল সাতটায় কাঁঠাল গাছটি কেটে ফেলেন আজাদ আলীসহবেশ কয়েকজন এমন অভিযোগ রমজান আলীর।

কাঁঠাল  গাছ কেটে নেওয়ার খবর পেয়ে রমজান আলী ইউ এনও এবং  সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান কে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা’র নির্দেশে সেদিনই ঘটনাস্থল  তদন্ত করেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হর্ষবর্ধন এবং গাছটি আটক করে নিয়ে আসেন উপজেলায় প্রশাসনের আওতায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রমজান আলী জানান, বাড়ির সাথে রাস্তায় পরে যাওয়া গাছটি  আজাদ আলী তার  চাচা মকবুল হোসেন কেটে নিয়েছেন।

মুনিষগার বাসিন্দা আজাদ আলী জানায়, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাছটি কাটার নির্দেশ দিয়েছেন এবং গাছটি আমি কাটিনি মেম্বার সহ এলাকাবাসী কেটেছে।

এদিকে চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে আজাদ আলী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টিতে আমাকে দায়ী করেছেন যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা, বানোয়াট!

সরকারি গাছ কাটার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যবৃন্দ।

মে ৩০, ২০২০ at ১৫:১০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হুক/এসএস