ঢাকায় করোনায় মারা যাওয়া নারীর দৌলতপুরে দাফন

ঢাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক নারীকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। ওই নারীর নাম শুভতারা বেগম (৭৮)। বুধবার (২৭ মে) রাতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তার লাশ দাফন করেন। এ নিয়ে রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৌলতপুর উপজেলার দুজনের মৃত্যুর পর দুজনকেই এখানকার নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হলো।

সবশেষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শুভতারা বেগমের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মুসলিমনগর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত রকমান মণ্ডলের স্ত্রী। শুভতারা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে ঢাকার সাভারে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ মে) সকাল ১০টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শুভতারা বেগমকে রাজধানীর মহাখালী আইইডিসিআরে নেয়া হলে ওইদিন রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এরপর বুধবার (২৭ মে) রাতে তার মরদেহ দৌলতপুর উপজেলার মুসলিমনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওই রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বামী রকমান মণ্ডলের কবরের পাশে শুভতারা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের আগে তার জানাজা নামাজ পড়ান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্থানীয় ইমাম।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সীমিত জানাজা।

স্বল্প পরিসরের এই জানাজা নামাজ শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী, দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমান ও একজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে দৌলতপুর থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য শুভতারা বেগমের দাফন সম্পন্ন করেন।

এর আগে একইদিন (বুধবার) ভোর ৬টার দিকে সাবেক কাস্টমস ইন্সপেক্টর আব্দুল কুদ্দুসকে (৬৭) উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের নিজ এলাকায় দাফন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মুগদা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজগর আলী বলেন, করোনায় মারা যাওয়া পরপর দুজনকে একইদিনে দাফন করতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে। তাদের লাশ দাফনে স্থানীয় লোকজন আপত্তি করায় উত্তেজনা দেখা দিলেও আমরা উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করে যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে সীমিত আনুষ্ঠানিকতায় তাদের দাফন কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।