প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

শেরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক মনিরুজ্জামান (২২)ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ধর্ষক মনিরুজ্জান শেরপরের শ্রীবরদী উপজেলার ঘুরজান গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে। তিনি ১ সন্তানের জনক। অপর ২ জন শেরপুর সদরের সজবরখিলা মহল্লার ভোট্রো মিয়ার ছেলে হামিদুর রহমান (২৪) ও পাকুরিয়া ফকির বাড়ি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৫)। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী ও ওই গ্রামের কৃষক পরিবারের কন্যার সঙ্গে মোবাইল ফোনে গত দু মাস পূর্বে পরিচয় ঘটে ১ সন্তানের জনক বখাটে মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গে। রবিবার (২৪ মে) ঈদের আগের দিন বিকালে মনির ওই স্কুল ছাত্রীকে দেখা করার কথা বলে ডেকে আনে শেরপুর সদরে। পরে মনির পাকুড়িয়া গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই স্কুলছাত্রীকে। রাতে পাশের একটি ক্লাব ঘরে আটকে রেখে অন্যান্য বন্ধুদের সহায়তায় মনির রাতভর ধর্ষণ করে ওই স্কুলছাত্রীকে। এতে গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পরে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী। পরদিন সোমবার সকালে মনির অন্য বন্ধুদের সহায়তায় অসুস্থ স্কুলছাত্রীকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে ধর্ষক মনির পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনিরসহ তার ২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ৫ জনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।