মানুষকে ঘরে ফেরাতে বীরগঞ্জ প্রশাসনের নানা উদ্যোগে

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিয়ম মানছে না জনগণ হিমশিম খাচ্ছে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ধীরে ধীরে মহামারি রূপ ধারণ করেছে। এ করোনা প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিদিন কম-বেশি ৮-১০ জন করে মারা যাচ্ছে ও সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসাক, সাংবাদিক, পুলিশসহ শত শত মানুষ। তবুও সাধারণ মানুষের টবক নড়ছে না। নিয়ম না মেনে সেই জনসমাগম করছে, জনসাধারণরা এক বাড়ি অন্য বাড়ি যাচ্ছে ও প্রশাসনের কাছে কোনো না কোনো অজুহাত দেখিয়ে তারা বাইরে বের হচ্ছেই। আর এইসব কারণে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে নিয়ম অনুযায়ী চলাফেরা করাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে।

মানুষ লকডাউন না মেনে বিনা প্রয়োজনে চলাফেরা করছে এতে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। দেশে সব ধরণের গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েছে -প্রশাসন। বীরগঞ্জ উপজেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে দিনাজপুর জেলাকে লকডাউন করার ঘোষণা দিয়ে ছিল জেলা প্রশাসক। বীরগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজার ও পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি মহাসড়কে অসংখ্য মানুষের চলাফেরা, পালা দিয়ে চলছে ছোট যানবাহন অটো, পাগলু সহ চ্যার্জার ভ্যান -রিকশা।

বীরগঞ্জ পৌরশহরের মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ যাতায়াত করছে। লকডাউন ঘোষণার পরেও সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে নানা অজুহাত বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ বিভিন্ন এলাকা থেকে বীরগঞ্জ আসছে আবার বীরগঞ্জ থেকে ফিরে যাচ্ছে।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান তিনি বলেন, লকডাউনের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ২৪ ঘণ্টা তাদের চেকপোস্টের কার্যক্রম চলে। একমাত্র জরুরি সেবার পরিবহন ছাড়া আর কোনো পরিবহন বা মানুষকে যাতায়াত করতে দেওয়া হয় না।

পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের টহল জোড়দার করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ আছে যারা অসচেতনভাবে বাসা থেকে বের হয়ে ঘোরাফেরা করছে। তাদের প্রশ্ন করা হলে কোনো না কোনো মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদের কাছে থেকে বেঁচে যায়। ওসি আরও বলেন, আমরা আমাদের পরিবারের কথা চিন্তা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। করোনায় জনসমাগম না হয় সে জন্য সবসময় চেষ্টা করছে পুলিশ।

পিপিইর বিষয় কথা হলে তিনি জানান, ওসি বলেন, দিনাজপুর -১(বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বীরগঞ্জ থানার ৬০জন পুলিশ সদস্যদের মাঝে পিপিই প্রদান করায় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে অনেক সুবিধা হয়েছে।