কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৬ মে) দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর দাদি। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক হৃদয় পলাতক রয়েছে।
অভিযোগে গেছে, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১২) গত শুক্রবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাড়ির বাইরে বের হয়। ওই সময় একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (২৩) তাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী তামাক পেড়ানোর ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য মেয়েটিকে হুমকি দেয় ধর্ষক হৃদয়।
মঙ্গলবার (৫ মে) রাতে আবারো ধর্ষক হৃদয় ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে একই ঘটনা ঘটাতে চাইলে সে কোনো মতে পালিয়ে এসে দাদিকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। ধর্ষিতার বাবা-মা কর্ম সূত্রে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে সে তার দাদির কাছে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে আসছে।
এই ধর্ষণের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর দাদি বাদী হয়ে বুধবার (৬ মে) দৌলতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক হৃদয় আত্মগোপন করেছে।
দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমান জানান, ধর্ষক হৃদয় এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
