করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ৩০ হাজার ‍কিট দিলো ভারত

মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য ৩০ হাজার কিট বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত।

বুধবার (৬ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে. আবদুল মোমেনের কাছে সহায়তার তৃতীয় চালান হিসেবে কিটগুলো তুলে দেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।

তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ও স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতে এই মহামারীর প্রভাব হ্রাস করতে বাংলাদেশকে সহায়তায় ভারতের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরই ধারাবাহিকতায় এ ৩য় চালান হস্তান্তর করা হলো।

আরো পড়ুন :
করোনা আক্রান্তের মাঠ থেকে ভুট্টা তুলে প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ
তালতলীতে জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ি খাদেমুল গ্রেফতার

হাই কমিশনার আরো জানান যে, এই আরটি-পিসিআর শনাক্তকরণ কিটগুলি ভারতের মাই ল্যাব ডিসকভারি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা উৎপাদিত ও কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য ভারতে বহুল ব্যবহৃত। রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন , কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন। সে সময় সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠন করা হয়। ওই তহবিলে ভারত ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা ঘোষণা করে। আর এ তহবিলের অধীনেই বাংলাদেশকেই প্রথম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই শনাক্তকরণ কিট দেয়া হলো। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

দুই দেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মহামারী সংক্রমণের পর তিন দফায় ভারতের সহায়তার বিষয়টি অবশ্যই প্রশংসনীয়। শনাক্তকরণ কিটগুলি বাংলাদেশে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে যা এই মুহূর্তে খুব প্রয়োজন।

তাৎক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী এই আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কিটগুলি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার কিটগুলি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় সংরক্ষিত অবস্থায় ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পর IEDCR-এ পাঠানো হয়।

এর আগে গত ২৫ মার্চ সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান হিসেবে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক ও ১৫ হাজার হেড-কভার ও ২৬ এপ্রিল ২য় চাকান হিসেবা ১ লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট এবং ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিকাল ল্যাটেক্স গ্লাভস দিয়েছিল ভারত।

মে ০৬, ২০২০ at ১৮:০০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভিকে/এএডি