শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউনের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রামন থেকে শরীয়তপুরের সাধারণ মানুষদের রক্ষা করতে জেলাকে লকডাউন করার দাবি জানিয়েছে শরীয়তপুর জেলা ছাত্র ইউনিয়ন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাইফ রুদাদ ও সাধারণ সম্পাদক বিকাশ মন্ডল বলেন, প্রথমবারের মতো শরীয়তপুরে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চারজন।

এ নিয়ে শরীয়তপুরে মোট আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচজন। এর আগে ৪ এপ্রিল ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধ মৃত্যুবরণ করেছেন। নতুন আক্রান্ত চারজনের মধ্যে তিনজনের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি জাজিরায়। কিন্তু এখনও শরীয়তপুরে গ্রামের হাট-বাজার, গলির মোড়ের চায়ের দোকান, ধর্মীয় উপাসনালয় এবং মাদককে কেন্দ্র করে লোক-সমাগম হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, কর্মহীন হয়ে পড়া নিন্ম আয়ের ও গরীব মানুষ খাবারের খোঁজে ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছেন। শরীয়তপুরকে করোনা মুক্ত রাখতে প্রশাসনকে আরও পর্যবেক্ষণ করে কর্মহীন গরীব, অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে বিছিন্নভাবে নয়, ঘোষণা দিয়ে লকডাউন করতে হবে। অন্যথায় করোনা থেকে শরীয়তপুরকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পরবে উল্লেখ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে জেলা ছাত্র ইউনিয়ন।

উলেখ্য, শরীয়তপুরে একদিনে চার জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এর আগে জেলার আরও একজন বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নতুন চার জন্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ৮২টি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।

রোববার (১২ এপ্রিল) শরীয়তপুর থেকে ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাতে সে পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায়, ১৪টি নমুনার মধ্যে চারটি নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) জেলা সিভিল সার্জন এস এম আব্দুল্লাহ্ আল-মুরাদ নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, চার জনের মধ্যে একজন ঢাকার লালবাগ থেকে ফিরেছিলেন। তার বাড়ি জাজিরা উপজেলায়। বাকি তিন জন এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বামী-স্ত্রী ও তাদের এক মেয়ে। তারা শরীয়তপুর সদরের বাসিন্দা।