বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম হলো “করোনা ভাইরাস”। যার কারণে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে দেশ ও দেশের বাইরের অধিকাংশ শহর।লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলো। কারণ অধিকাংশের রোজগারের রাস্তা বন্ধ।শহর লকডাউন হলে ও ক্ষুধা তো আর লকডাউন মানছে না। এ সকল অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে, বৃহস্পতিবার সকালে তারা যশোর শহরের অর্ধশতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই যাদের কাজ তারা হলেন হাসি-মুখ।
যশোর শহরের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একঝাঁক তরুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে তোলা এই হাসি-মুখ সংগঠনটি। ‘আর্ত মানবতার সেবায় উন্মোচিত এক নতুন দিগন্ত’ এই উদ্দ্যেশ্যেই তাদের সামনের দিনের পথচলা। করোনা মহামারীর সময়ে দেশের এই ক্রান্তিকালে তারা অনেক ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আজ সকাল ১০ টায় তারা যশোর শহরের অর্ধশতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বেঁচে থাকার মত কিছু খাদ্য দ্রব্য চাল-ডাল-তেল-লবণ-আলু দিয়েছে। নিরাপদ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তারা এই উপহারসামগ্রী বিতরন করেন।
উত্তর বিতরণ কর্মসূচির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শফিকুল ইসলাম (প্রেসিডেন্ট, লায়ন্স ক্লাব অব যশোর, কপোতাক্ষ)
আরও পড়ুন: কোটচাঁদপুরে করোনা প্রতিরোধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সচেতনতামূলক প্রচার
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
১/মনিরুজ্জামান নুনা (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার)
২/মোঃ আবুল কালাম আজাদ (ডি,ভি,সি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড)
উক্ত কার্যক্রমের প্রধান অতিথি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, কর্মহীন মানুষগুলোর বেঁচে থাকার জন্য হাসি-মুখ এর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এর অসাধারণ এই উদ্যোগ কে আমি সাধুবাদ জানাই। সবাই কে যার যার জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আহনাফ শাকিলের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই এসব পরিবারের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরন করেছি। সামনে আমাদের পরিকল্পনা আছে দুইশতাধিক পরিবারের মাঝে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া। তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার আহবান জানান।
দেশদর্পণ/এফএফ/এসজে