শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা সেবায় নানা অভিযোগ

মাগুরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে অ-স্বাস্হ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে স্বাস্হ্য সেবা প্রদান, এমন কি শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ পলাশী রায়হানার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই।

প্রতিনিয়ত শ্রীপুর উপজেলার আশে পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ এবং শিশু স্বাস্হ্য সেবা গ্রহনের জন্য আসেন শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ন ভবন এবং উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অ-স্বাস্হ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে প্রদান করা হচ্ছে স্বাস্হ্য সেবা। স্বাস্হ্য কেন্দ্রের পরিবেশ এবং স্বাস্হ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ পলাশী রায়হানার বিরুদ্ধে স্বাস্হ্য সেবা গ্রহনের জন্য আসা রোগী এবং রোগীর স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ।

স্বাস্হ্য কেন্দ্রে আসা রোগী এবং রোগীর স্বজনেরা জানান, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রের পরিবেশটা খুবই নোংরা এবং অ-স্বাস্হ্যকর।প্রধান ফটক প্রায়ই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। ডাক্তারকে অফিস সময়ে প্রায়ই পাওয়া যায় না। অফিস সময়ে আসলেও প্রায়ই ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
আরও পড়ুন: কেশবপুরের ইউপি চেয়ারম্যানের ৩শ’ বিঘার মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ

ঔষুধ কোম্পানীর সুবিধা বিবেচনায় প্রায়ই তিনি অপ্রয়োজনীয় ঔষুধ এমন কি এন্টিবাইটিক ঔষুধ ব্যবহারে বিন্দু মাত্র দ্বীধাবোধ করেন না।এমন কি একজন ডাক্তারের ব্যবস্হা পত্রে ঔষুধের নাম এবং প্রয়োগ ভূলে ভরা।এমতবস্হায় আমাদের মত সাধারণ মানুষের স্বাস্হ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে।এ সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া আমাদের একান্ত জরুরি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ পলাশী রায়হানা বলেন, স্বাস্হ্য কেন্দ্রের পরিবেশে দেখার দ্বায়িত্ব আমার না, এই পরিবেশের জন্য আমি নিজেও বিব্রত। আমার এখানে প্রায়ই জটিল এবং কঠিন রোগী আসে, কোন অ-প্রয়োজনীয় ঔষুধ আমি ব্যবহার করি না। মানুষের ভূল হওয়াটাই স্বাভাবিক, হয় তো ব্যস্ততার মাঝে আমারো ভূল হতেই পারে।

অফিস সময়ে অফিসে না থাকার বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তিনি সময় মত অফিসে না থাকার বিষয়টা স্বীকার করে বলেন, আমার অফিস সময়ে হয় তো মাঝে মধ্যে আমার মেয়েকে সময় দেওয়ার জন্য অফিসে থাকতে পারিনি।

দেশদর্পণ/এমএম/এসজে