অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বিত্তশালীরা

দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে সাম্প্রতিকের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ব্যক্তি উদ্যোগে সহায়তা করা হয়েছে। ওই এলাকার কয়েক বিত্তশালী ব্যক্তি বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে টিন, শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ অর্থসহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিজপত্র বিতরণ করেন।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মারচর লোকনাথপুর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৫টি পরিবারের অন্তত ৩০টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়। গৃহপালিত পশুসহ ঘরগুলোর অন্যান্য আসবাবপত্র ও খাদ্যশস্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার দিনেই অসহায় ওই পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে চাল, ডাল ও কম্বলসহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়া হয়। তবে চারদিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের তরফে আর কোনো সাহায্য সহযোগিতা করা হয়নি বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।

এ অবস্থায় অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার বিত্তশালী ব্যক্তিরা। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে প্রত্যেক পরিবারকে শাড়ি, লুঙ্গিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছেন। ওই এলাকার ব্যবসায়ী ইউসুফ আবু জাফর প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে, আরেক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফায়েল হোসেন তপন তিন বান্ডিল করে টিন, ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম আড়াই বান্ডিল করে টিন দেন। এ ছাড়া ইতালি প্রবাসী গোলাম সরোয়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ টাকা প্রদান করেছেন।

ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে স্থানীয়দের প্রাথমিক ধারণার সাথে মিল রয়েছে সরকারি হিসেবেও। সরকারিভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই গরিব কৃষক পরিবার। আগুনে সব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতরভাবে বসবাস করছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইদুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখনো অনুমোদন হয়নি। বরাদ্দ এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে দেয়া হবে।