পুলিশ ক্যাম্পে অসহায় বৃদ্ধ মা

ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের বাহাদুর পুর গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী সরেজান নেছা (৭০) বছরের বৃদ্ধা। স্বামী মৃত্যুর সময় প্রায় ২০-২৫ কাঠা জমিও রেখে গেছেন। তার ২ ছেলে। বড় ছেলে ইনছান আলী ( ৪৫) আনছার ভিডিপির কাজ করেন। ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০) ঢাকাতে টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করে। বৃদ্ধার ৩ মেয়ে বিবাহ হয়ে অন্যের ঘর করছেন।

বৃদ্ধা মা ঝিনাইদহ হরিনাকুন্ডু জোড়াদহ পুলিশ ক্যাম্পে এসে অভিযোগ দিলে তার সন্তানরা কেউ তাকে খেতে দেয় না, কাপড় চোপড় ও দেয় না অসহায় হয়ে পড়ে আছে।

এই কথা শোনার সাথে সাথে জোড়াদহ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই টিটু আলী , সাঙ্গি এএসআই আঃ হামিদ, এএসআই আনিসুর রহমান ও বৃদ্ধাকে নিয়ে বাহাদুর পুর গ্রামে বৃদ্ধা বাড়ীতে ছুটে যান পুলিশ অফিসাররা। এলাকায় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তার দুই ছেলে এবং ছেলে বউকে বৃদ্ধা সারেজান নেছার প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য উপস্থিত এলাকাবাসীর সহায়তায় বুঝিয়ে দেন ।
আরও পড়ুন: তাহিরপুরে উন্মুক্তভাবে ভাতা বাছাই কার্যক্রম শুরু

হরিণাকুণ্ড থানা পুলিশ আশা করছে সারেজান নেছার প্রতি তার সন্তানরা সঠিক দায়িত্ব পালন করবে।

জোড়াদাহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই টিটু আলীর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন মা, বাবার প্রতি সন্তানের যে দ্বায়িত্ব, কর্তব্য তা আমাদের সকলকেই পালন করা উচিৎ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৃদ্ধা মা যখন পুলিশ ক্যাম্পে আসেন তখন জরাজীর্ণ অবস্থা এসেছেন। বৃদ্ধা মার কথা শোনার সাথে সাথে অফিসের কাজ ফেলে রেখেই আমি ছুটে গেছি তার বাড়ীতে।

দেশদর্পণ/এসএম/এসজে