বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু

অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে গভীর সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায়  ১৫ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনী ও কোস্ট গার্ড। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

এছাড়া আরও ৬২ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে গভীর বঙ্গোপসাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

লে. কমান্ডার নাঈম উল হক বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৪০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: কাঁকড়া-কুঁচে রপ্তানি বন্ধ, বিপাকে কয়েক হাজার মানুষ

জীবিত উদ্ধার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে নাঈম উল হক বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি আমরা। ট্রলারডুবিতে হতাহতদের সবাই রোহিঙ্গা। টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। তাদের ট্রলারে ১২০ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ কেউ সাঁতরে কূলে উঠে পালিয়ে গেছেন। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।

উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা। সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই ডুবে যান। কেউ কেউ সাঁতরে পার হন।

দেশদর্পণ/এসজে