নারী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানী মামলার এক আসামী গ্রেফতার

 অবশেষে ৩ মাস পর শৈলকুপায় নারী সাংবাদিক শ্লীলতাহানী মামলার আসামী রামিম হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌর এলকার সাতগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মামলার অপর আসামী আব্দুর রহমান মিল্টন পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, গত ৫ নভেম্বর শ্যামবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তানিয়া আফরোজ বাদী হয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধনী/০৩) ১০ ধারাসহ ৩২৩ ও ৫০৬ পেনালকোডে মামলা করে। সেই থেকে মনোহরপুর গ্রামের সাংবাদিক আব্দুর রহমান মিল্টন ও তার সহযোগি সাতগাছি গ্রামের রামিম হাসান পলাতক ছিল। কবিরপুর শামীম হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্ট্রিকের ভিতর মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছিল। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করে সাংবাদিক তানিয়া আফরোজ।
আরও পড়ুন:প্রেমে সাড়া না দেয়ায় সহকর্মীর হাতে খুন নারী এসআই

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা সাংবাদিক তানিয়া আফরোজ বলেন, ডিবিসি চ্যানেলের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি নারী নির্যাতন মামলার প্রধান আসামী লম্পট ও মাদকাসক্ত আব্দুর রহমান মিল্টন এবং অপর সহযোগি আসামী রামীম হাসান মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। ৮ ফেব্রæয়ারী শনিবার দুপুরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মহসিন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে রামিম হাসানকে গ্রেফতার করার প্রাক্কালে অপর আসামী আব্দুর রহমান মিল্টন পালিয়ে যায়।

থানা সূত্র জানায়, অত্র মামলার বাদীকে সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টার অভিযোগে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃ বিধির ৪৯৮/৪৩৯/(ক) ৪৩৫ ও ৪০৮ ধারায় আরো একটি মামলা হয়েছে যার নম্বর ১৩৯/১৯।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, নারী সাংবাদিক তানিয়া আফরোজকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রামিম হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আব্দুর রহমান মিল্টনকেও গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

দেশদর্পণ/এমএস/এসজে