নতুন ভিডিও নিয়ে বিপাকে ট্রাম্প

২০১৮ সালে ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মেরি ইভানোভিচকে অবৈধভাবে পদচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই নির্দেশনার একটি ভিডিও শনিবার ফাঁস হয়ে গেছে।

ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান পার্টির এক দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে রাতের খাবার গ্রহণকালে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তাকে ট্রাম্প বলছেন, ‘তাকে (মেরি ইভানোভিচকে) চাকরি থেকে সরিয়ে দাও।’

ওই ঘটনার পর ২০১৯ সালের মে মাসে ইউক্রেন থেকে ইভানোভিচকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ইউক্রেন কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিচারে কংগ্রেসকে বাধা দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তকালে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ইভানোভিচ।

এদিকে মার্কিন সিনেটে দ্বিতীয় দফার শুনানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৯টায় ট্রাম্পের পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি শুরু করেন। এর আগে টানা তিন দিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুনানি করেন ডেমোক্র্যাট পক্ষের আইনজীবীরা। খবর বিবিসির।

অভিশংসন শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জিলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন।

জো বাইডেনের ছেলে ইউক্রেনের গ্যাস কোম্পানি বুরিসমায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। ট্রাম্পের দাবি, ওই কোম্পানিতে থাকার সময় বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল এবং বাইডেন ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেই দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-ঢালারচর ট্রেন চলাচল শুরু

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ওই তদন্ত আবারও শুরু করতে চাপ দেন ট্রাম্প এবং চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে তিনি ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন।

এএফপি জানিয়েছে, আজ সোম ও আগামীকাল মঙ্গলবারও ট্রাম্পের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেবেন তার আইনজীবীরা। এরপর সিনেট সিদ্ধান্ত নেবে, এ ব্যাপারে কারও সাক্ষ্য নেয়া হবে কিনা। যদিও শুরু থেকেই ডেমোক্র্যাটরা এই দাবি জানিয়ে আসছে।

ফক্স নিউজকে রিপাবলিকান সিনেটর মাইক ব্রাউন বলেন, ‘ট্রাম্পের পক্ষে যে যুক্তিতর্ক তুলে ধরা হবে, তা হবে খুবই সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য।’ ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য নেয়ার অনুমতি দিতে ট্রাম্প অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এছাড়া তদন্তের কাগজপত্র সরবরাহের অনুমতিও তিনি দেননি। এর মধ্য দিয়ে তিনি কংগ্রেসের কার্যক্রমে বাধা দিয়ে আরেকটি অপরাধ করেছেন।

দেশদর্পণ/এসজে