ইবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই দু’গ্রুপের দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা ও দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক এলাকায় সভাপতি-সম্পাদক গ্রæপের সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রæপের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ সম্পাদক রাকিবসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। প্রায় চার মাস পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তার কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের খবরে সকাল থেকে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেয় বিদ্রোহী গ্রæপের নেতা কর্মীরা। অপরদিকে সভাপতি-সম্পাদক গ্রæপের কর্মীরা প্রধান ফটক এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে বেলা ১১টায় টেন্ট থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ফটকের দিকে গেলে দুই গ্রæপের সংঘর্ষ হয়। এতে চার জন আহত হয়।

পরে বেলা ২টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম পলাশ বিশ্ববিদ্যালয় থানা গেট থেকে প্রধান ফটকের দিকে আসলে ২য় দফায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রæপের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি-সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এসময় তিনটি ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় প্রধান ফটক এলাকা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সভাপতি-সম্পাদক গ্রæপের কর্মীরা পালিয়ে যায়। এতে সাধারণ সম্পাদক রাকিব গুরুতর আহত হন। এছাড়াও উভয় গ্রæপের প্রায় ২৫জন আহত হয়েছে। আহতদের প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় বিশ^বিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং কয়েক জনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাই-ভাবীকে মারপিট করে গাছে বেঁধে রেখে জায়গা দখল

পরে বিদ্রোহী গ্রæপের নেতা-কর্মীরা খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে। এরপর আধা ঘন্টা পর যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় বিদ্রোহী গ্রæপের নেতা-কর্মীরা।

এবিষয়ে সহকারী প্রক্টর আনিচুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সকাল থেকে প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়ন ছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রোনের চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এঘটনায় তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যাবন্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিপ বলেন, সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেছি। একটি মামলা প্রস্তুতি চলছে।

দেশদর্পণ/এএন/এসজে