দায়সারা প্রচারণা, ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান জনশূন্য!

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর উৎসব বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপনের লক্ষে শনিবার দেশজুড়ে উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান। তবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের রাতের মূল আয়োজনে মানুষের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে।

শনিবার রাতে দৌলতপুর উপজেলা চত্ত্বরে কোর্টবিল্ডিংয়ের সামনের মাঠে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে গিয়ে দেখা গেছে জনশূন্য অবস্থা। এমনকি দেখা মেলেনি আয়োজকদের কারো। এই প্যান্ডেলে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত জমকাল অনুষ্ঠান প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এ সময় প্যান্ডেলের ডান পাশে শুধুমাত্র সামনের সারিতে জনাকয়েক ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা যায়। আর ভাজাপোড়া বিক্রির কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ দোকান ছাড়া কোনো মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। সবগুলো চেয়ার ফাঁকা, রাতের শুনশান নীরবতায় অনুষ্ঠানস্থলে একরকম ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছিল।

উপজেলা প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব ও দায়সারা প্রচারণার কারণে এখানকার আয়োজনে লোকসমাগমে এ ধরনের নাজুক অবস্থা বলে স্থানীয় অনেকে মন্তব্য করেন।

তবে এ প্যান্ডেল থেকে বেরিয়ে আসার পরপরই সেই নীরবতা কাটিয়ে সরকারি কর্মসূচি মোতাবেক উপজেলা পরিষদের সামনে আরেক মাঠ থেকে বর্ণিল আতশবাজির ঝলকানিতে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। চোখ ধাঁধানো আতশবাজি দেখতে ওই মাঠটিতে হাতে গোণা কিছুসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ঘটে। এর আগে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে বসানো ক্ষণগণনার ডিজিটাল ঘড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনার এ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) শারমিন আক্তার আতশবাজির মাঠে ব্যস্ত ছিলেন। এ কারণে কোর্টবিল্ডিংয়ের সামনের প্যান্ডেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের অন্য কোনো কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকার দরকার ছিল বলে অনেকে মনে করছেন। ‘আয়োজকরাই যেখানে অনুপস্থিত, সেখানে সাধারণ পাবলিক থাকে কী করে’ এমন মন্তব্যও করেন স্থানীয় লোকজন।

এ ছাড়া ক্ষণগণনা অনুষ্ঠানের দিনের প্রথমভাগের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনী নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) শারমিন আক্তার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী, দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমানসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দেশদর্পণ/এসআরএস/এসজে