ড্রাম ট্রাক কেড়ে নিল ঘুমন্ত দুই ব্যক্তির প্রাণ

সারা দিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত শরীরে রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন আব্দুল খালেক ফকির (৬৫) ও রোহান হোসেন (৬০) নামে দুই ব্যক্তি। ঘাতক ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎই ঝড়ের গতিতে তাদের ওপর আছড়ে পড়ে একটি গাছসহ শুয়ে থাকা টিনের ছাপড়া ঘরের একাংশ। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ওই দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমদহ গ্রামের আব্দুল খালেক ফকির ও রোহান হোসেন দিনভর কাজকাম শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ক্লান্ত শরীরে নিজ বাড়ির টিনের ছাপড়া ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি ড্রাম ট্রাক ফিলিং বালু আনলোড করার সময় তাদের় টিনের ছাপড়া ঘরের ওপর হেলে পড়ে। ওই ট্রাকের আচমকা ধাক্কায় ঘরটির একাংশ ও একটি মোটা গাছ ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ওপর আছড়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তারা দুজন মারা যান।

এ ঘটনায় গভীর রাতে বিকট শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে দৌলতপুর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল খালেক ফকির ও রোহান হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-১৩-৫৬৫২) জব্দ করে থানায় নেয়।

এলাকাবাসী জানান, আব্দুল খালেক ফকির ও রোহান হোসেন বাউল সম্রাট লালন ফকিরের অনুসারী ছিলেন। নিহত রোহান হোমেনের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আখড়াবাড়ি সংলগ্ন ছেঁউড়িয়া এলাকায়। তিনি জীবিকার তাগিদে দৌলতপুর উপজেলার ওই গ্রামে এসেছিলেন। কাজ করতেন মরিয়ম পারটেক্স নামে একটি কারখানায়।

দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমান বলেন, নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বাদী পক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকার কারণে এবং তাদের বিশেষ অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই় দুজনের লাশ দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।