ধান চাষ করে বিপাকে কৃষক, উৎপাদনের তুলনায় খরচই বেশি

চৌগাছায় আমন ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছে উপজেলার হাজারো কৃষক। উৎপাদনের তুলনায় খরচ অনেক বেশি হয়েছে। এই উপজেলায় আমন ধান কাটা প্রায় শেষ হয়েছে, ধানের খরচ মেটাতে অনেকে আবার ধান বিক্রয় করার জন্য বাজারেও তুলছেন।

আর এই সময় হঠাৎ বাজারে ধানের দাম কমে যাবার ফলে এই অঞ্চালের হাজারো কৃষক ধান উৎপাদন করে সঠিক দাম না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকে আবার জমি ভাগে নিয়ে ধার-দেনা করে ধান চাষ করেছেন ফলে খরচের তুলনায় ধানের দাম তুলনা মূলক অনেক কম থাকায় ধান চাষে আগ্রহ কমছে। এছাড়া ধান পাকার শেষ সময়ে হঠাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণে উপজেলার অনেক মাঠের ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। তার সাথে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মাঝারি বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় জমির ধান পানিতে ডুবে যায়। ফলে জমি থেকে ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে আনতে বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়া রাজার হালে আছেন: প্রধানমন্ত্রী
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রেল সেবা সপ্তাহ শুরু

চৌগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাব অনুসারে উপজেলায় চলতি আমন মওসুমে ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়।যা থেকে ৭৪ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। নতুন ধান বাজারে মণ প্রতি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে যাহা খরচের তুলনায় সামান্য। সামনে হালখাতাকে কেন্দ্র করে ধান-দেনা শোধ করার জন্য অনেকে আবার আগে ভাগে ধান বিক্রয় করছে। ফলে এক শ্রেনীর আড়ৎদার বসে আছে কিভাবে কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা যায়।

এর মধ্যেও জরুরী প্রয়োজনে টাকার জন্য ব্যবসায়ীদের ফাদে পা দিচ্ছেন উপজেলার সাধারণ কৃষক।ইতি মধ্যে গত বৃহস্পতিবার চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) ডাঃ নাসির উদ্দীন সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকার মণ প্রতি ১হাজার ৫০ টাকা দরে ধান কিনবেন। ফলে কিছুটা হলেও সাধারণ কৃষক ধান বিক্রয় করে লাভবান হবেন।

ডিসেম্বর ৪, ২০১৯ at ২০:৩৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআই/এআই