কোরআন পার্কে ঘটে ব্যাপক দর্শনার্থীর সমাগম

চলতি বছরের ২৯ মার্চ পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পার্কটি উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কোরআনে কারিমে বর্ণিত উদ্ভিদসমূহ দেখার জন্য সেখানে ভিড় করেন।

পার্কটি নির্মাণ করতে ২০০ মিলিয়ন দিরহামের অধিক অর্থ ব্যয় হয়েছে এবং এটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করছে। দেশটির আল খাওয়ানিজ (Al Khawaneej) অঞ্চলে ৬৪ হেক্টর জমির ওপর এই পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কে মোট ১৩টি বাগান রয়েছে। এসব বাগানে কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ৫৪ প্রকার গাছ লাগানো হয়েছে এবং খাদ্য ও ঔষধ হিসেবে গাছগুলোর বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি এতে কৃত্রিম হ্রদ, গুহা ও পাহাড় তৈরি করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত অনেক অলৌকিক ঘটনা বিশেষ করে হজরত মুসা (আ.)-এর লাঠির অলৌকিক ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এই পার্কের সবুজ মনোরম দৃশ্য দর্শকের হৃদয়ে প্রশান্তি দেয়।

আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কোরআনের প্রাসঙ্গিক আয়াত ও ঘটনা লিখে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি স্থাপনার পাশে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পার্কে রয়েছে ডিজিটাল থিয়েটার। যেখানে কোরআনের বিভিন্ন ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ডকুমেন্টারি ও ভিডিও দেখানো হয়।
টাইম ম্যাগাজিন দুবাইয়ের কোরআনিক পার্ককে পর্যটকদের কাঙ্খিত গন্তব্য হিসেবে ১০০টি স্থানের মধ্যে অন্যতম বলে তুলে ধরেছে।

আরো পড়ুন:
ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে মশকরা, ক্ষোভে ফুঁসলেন অর্জুন
শীতের শুরুতে চুলের যত্ন নিবেন যেভাবে

কোরআনে কারিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এটি বিশ্বের প্রথম কোরআনিক পার্ক। এর মাধ্যমে দর্শনার্থীরা কোরআনে কারিম সম্পর্কে বিশদ ধারণা পাচ্ছেন।

কোরআনের বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলির আলোকে বিভিন্ন কর্নার ও বাগানের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে পার্কটি। এই পার্ক ইসলাম ও পবিত্র কোরআন সম্পর্কে দর্শনার্থীদের আগ্রহী করে তুলছে। বিশেষ করে অমুসলিমদের।

২৭ নভেম্বর, ২০১৯  at ১০:৪৭:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বা২৪/এজে