আজকের শহুরে জীবনযাত্রা আর ব্যস্তবতার গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে এই নবান্ন উৎসব। এই উৎসব আজ গ্রাম-বাংলা থেকে অনেকটাই হারিয়ে গেছে, কিন্তু আজও বেঁচে আছে গ্রাম-বাংলার ধানের গন্ধ। প্রাচীন এসব উৎসব বাংলার বুকে লোকজীবনে বেঁচে থাকুক এই কামনায় ব্যাপক প্রস্ততি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে মাছের মেলা। সোমবার সরেজমিনে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান মাছ বাজার গিয়ে দেখা যায়, পুরোহাট সাজসজ্জায় সাজানো হয়েছে, মহাস্থান মাছ হাটের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে আয়োজক কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হায়দার ।
আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম এর সাথে কথা বললে তারা জানান, বাঙালিদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে নবান্ন উৎসব, নবান্নের এই ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করেই আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মাছের মেলার আয়োজন করেছি। অপরদিকে শিবগঞ্জ উথুলী নবান্ন মেলা অত্র উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে।
সরেজমিনে ঐ মেলায় গেলে দেখা যায়, পা ফেলার মতো কোন জায়গা নেই, সব রকমের মাছের পসরা সাজিয়ে বসে আছে বিক্রেতারা, ক্রেতারা দামাদামি করে চাহিদা মতো মাছ কিনছে, এ মেলায় মাছের দাম কেজি প্রতি ৩০০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত হাকেছে বিক্রেতারা আর ক্রেতারা ২৫০-৩৫০ টাকা দরে মাছ কিনে বাড়ি ফিরছে।
এ মেলায় অত্র এলাকার সকল জামাই ও আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার ততোধিক জনসাধারণ। জানতে চাইলে উথুলী পাইকপাড়ার জামাই শিবগঞ্জ চৌধুরী আর্দশ মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান মন্টু বলেন, এ মেলাকে ঘিরে এ এলাকায় সকলের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করে।
১৮ নভেম্বর, ২০১৯ at ১৯:২৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/রইর/এজে