কৃষিজমি থেকে জোরপূর্বক বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে কামারখন্দে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

নদী তীরবর্তী কৃষিজমি থেকে জোরপূর্বক ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন, জমির মালিক ও এলাকাবাসির উপর বালু উত্তোলনকারিদের সন্ত্রাসী হামলা ও মারপিটের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে  ঐ উপজেলার দোগাছিতে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচি পালন করেন বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্থ ধামকোল, আলোকদিয়া ও দোগাছি গ্রামবাসি।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আসা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ফুলঝোড় নদীতে জমা হওয়া পলিমাটি থেকে সৃষ্ট চর অপসারন করে নদীর গতিপথ ঠিক রাখার জন্য বালুমহল ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। এরপর থেকে প্রতিবছর এই বালিমহাল টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়।

আরো পড়ুন:
জেলহত্যা দিবসে যবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দোয়া মাহফিল

চুল দ্রুত বড় করার উপায়

চলতি বছর ফুলজোড় নদীর কামারখন্দ উপজেলা অংশের বালিমহালের ইজারা নেন জেলা সদরের রায়পুরের হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যাবসায়ি। কিন্তু তিনি নিজে বালু উত্তালন না করে নারায়নগঞ্জের জাকির হোসেন নামের এক বালু ব্যবসায়ীর কাছে ইজারা হস্তান্তর করলে সে বালু উত্তোলন শুরু করে।

একপর্যায়ে বালু মহালের বালু উত্তোলন শেষ হলে ঐ উপজেলার নদী তিরবর্তী আলোকদিয়া, ধামকোল ও দোগাছি মৌজার বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ডকৃত জমি থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে সে। এতে জমির মালিকেরা বাধা দিলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহায়তায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে জাকির হোসেন।

এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ বিঘা কৃষিজমির বালু জোরপূর্বক কাটার অভিযোগে স্থানীয়রা এই বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এরা। সম্প্রতি উত্তোলন করা বালু ধামকোল গ্রামের ছামান আলী ও ইসমাইল হোসেনের জমিতে জোরপূর্বক স্টক করার পর এই কাজে বাধা দেয় স্থানীয়রা।

এর ফলে জাকির হোসেনের সন্ত্রাসীরা গত শনিবার পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বালু উত্তোলনে বাধা প্রদানকারিদের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ বিষয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে অভিযোগকারীদের সাথে দুব্যাবহার করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে স্থানীয়রা।

এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, স্থানীয় ইকবাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকেরা।

নভেম্বর ৩, ২০১৯ at ১৯:০৭:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/অর/তুম