রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পৌরসভায় মুক্তা খাতুন (১৬) নামের এক গৃহবধু নিজ বড়িতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। নিহত মুক্তা খাতুন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং আল-আমিনের স্ত্রী।
গৃহবধু মুক্তার বাবার বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। ছয় মাস আগে তার বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল বাবার বাড়ি। পরীক্ষা শেষে বাবা আনারুল ইসলাম মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। কিন্তু বাবা বাড়ির পথ ধরার পর পরই কীটনাশক পান করে মেয়েটি।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাত ১টার দিকে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। মুক্তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরীক্ষার জন্য সম্প্রতি বাবার বাড়ি গিয়েছিল। পরীক্ষা শেষে বুধবার তার বাবা তাকে শ্বশুরবাড়ি রেখে যান। এর কিছুক্ষণ পরই মেয়েটি কীটনাশক পান করে।
ওসি আরও বলেন, তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শ্বশুরবাড়ির সবাই মুক্তাকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু কেন সে আত্মহত্যা করলো, তা কেউ বুঝতে পারছেন না। মেয়ের স্বামী বা শ্বশুরের বিরুদ্ধেও তার কোনো অভিযোগ নেই।
মুক্তার আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করছে পুলিশ। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান ওসি।
অক্টোবর ৩১, ২০১৯ at ১৯:৪২:৩০ (GMT+ 06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/এআই