নাগেশ্বরীতে একটি ব্রিজের অভাবে চরম দূর্ভোগে গ্রামবাসী

নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কামারের কুটি কালাপানি নদীর উপরে একটি ব্রিজের অভাবে চরম দূর্ভোগে গ্রামবাসী। বাঁশ বেধে দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে এ যাবত ৩জন শিক্ষার্থীর মৃত্যুসহ দুর্ঘটনার শিকার অনেক পথচারীরা।

কামারের কুটি কালাপানি নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় এ এলাকার ১ হাজার ৫ শত মানুষ দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে দুর্বিসহ জীবন কাটে অভাবনায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ উন্নয়ন থেকে বিতাড়িত। এক নাজুক অবস্থার মাঝে কাটে জীবন প্রণালি।

আরও পড়ুন:
বহু সংখ্যাক সেনা-পুলিশ নিহত মিয়ানমারের
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধা

কামারের কুটি অলের নেতিয়েপড়া পরিবারের শিশু শিক্ষার আলো থেকে বিতাড়িত হচ্ছে। বন্যা বর্ষাকালীন জীবন চিত্র কষ্টক্লিষ্ট বেদনাবিধুর। প্রাথমিক স্কুল পড়তে হলে হেটে যেতে হয় প্রায় ২কিঃ মিঃ দূরে আজমাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে পড়তে হলে হেটে যেতে হয় প্রায় ৫কিঃ মিঃ দূরে রায়গঞ্জ। আর্থিক দৈন্যতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিৎসা সেবাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে হয়। গ্রাম্য ধাত্রীদের সহযোগিতায় গর্ভবতী মায়ের এখানে মান্ধাতার আমলে আদলে প্রসব করেন সন্তান। ভাইরাসজনিত রোগ বালাই যেমন ডায়রিয়া, টাইফয়েট, শর্দি জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় অনেকে।

বক্তার আলী, খলিলুর রহমান, হবিবর রহমান, রওশন আরা বেগম, জাহানারা বেগম ও মমেনা বেগম বলেন, আমরা ৫০বছর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ উন্নয়ন থেকে বিতাড়িত। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য শহরে বাজারজাত করতেও ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। মেয়েরা শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে যাওয়ায় বাল্য বিবাহের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। ব্রিজটি নির্মাণ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

ইউপি সদস্য হাশেম আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা নদী পার হয়ে লেখাপড়া করতে আসে। শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় বাঁশ বেধে দিয়ে পারাপার হয়ে আসতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ও বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে আসা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

রামখানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, বিষয়গুলো আমার অবগত আছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অক্টোবর ২৮, ২০১৯  at ১৩:১৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই