শিক্ষকতায় তৃপ্তির জেলাপর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন

উচ্চশিক্ষা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি-এলএলএম হলেও আগ্রহ জন্মায় শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করার। উচ্চ আদালতের ওকালতি ছেড়ে যথারীতি চেষ্টা করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে। ২০১৩ সালে নিয়োগ পান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সময়েই আইনের মানুষ তৃপ্তি শেষ করেন ‘ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন’ কোর্স। জেলার শিক্ষাঙ্গনে নিজের প্রতিভা আর দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন তিনি।

শনিবার পেলেন সেই স্বীকৃতি। কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক (নারী ক্যাটাগরি) হিসাবে গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯। এ অঞ্চলের এক সময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী তৃপ্তি হাসনাৎ চুমকি সারা দেশের শিক্ষকদের ভেতর এরই মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন তার কণ্ঠ শিল্প দিয়ে। শিশু শিক্ষা নিয়ে গবেষণা, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় শিশুদের নিয়ে লেখালেখি, পাঠদানে মনোযোগ আর গান-কবিতার প্রতিভা, সবমিলিয়ে অল্পতেই শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের মধ্যমণি হয়ে ওঠেন তিনি।

‘খেতাব নয়, নিজের বিদ্যা, বুদ্ধি ও বিবেককে কাজে লাগাতে চাই দেশের কল্যাণে। শিক্ষিত জাতি গড়তে এই প্রজন্মের একজন শিক্ষক হিসাবে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করতে চাই’ পদক প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে এরকমই জবাব দেন তৃপ্তি। জেলা প্রশাসক পদকে এবারই প্রথমবার প্রাথমিক শিক্ষাকে অন্তর্ভূক্ত করায় আনন্দিত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকেরা। এর আগে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করা হয় পদক প্রাপ্তদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও কার্যক্রমকে।

আরও পড়ুন:
কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ
‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা’ রেজুলেশন পাশ হওয়ায় সিরাজগঞ্জে আনন্দ মিছিল

শনিবার কুষ্টিয়া পৌর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেয়া হয় এই পদক। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই পদক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান ও পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ব্র্যাকপাড়ার আবুল হোসেনের মেয়ে পদকপ্রাপ্ত তৃপ্তি হাসনাৎ বর্তমান সরকারের শিক্ষাখাতের উন্নয়ন নিয়ে ব্যপক আশাবাদী বলে জানান। বলেন, শিক্ষকদের বহুমুখী কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে হবে। শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে এমন হয়ে উঠতে হবে যেন, প্রাথমিক শিক্ষার পাঁচ বছর শিশুরা বাড়ির তুলনায় বিদ্যালয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। মনে রাখতে হবে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত আর ভবিষ্যত গঠনে অন্যতম দায়িত্ব শিক্ষকদের।

অক্টোবর ১৯, ২০১৯ at ২৩:২৮:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআরএস/এএএম