কচাকাটার প্রধান সড়কে মাছ চাষের সাইনবোর্ড

কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের কচাকাটা বাজার সড়কের অবস্থা বেহাল । মাছ চাষ করে প্রতিবাদ করেছে স্থানীয়রা।

কচাকাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কটি এক যুগেরও বেশি সময় মেরামত না করায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিপাতে এসব গর্তে পানি জমে পুকুর সদৃশ হয়ে পড়ে সড়কটি।

সারা সড়কে কাদায় একাকার হয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। বছরের প্রায় সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রতিবাদে সড়কের খালে মাছ চাষের প্রতীকী প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বিকেলে স্থানীয়রা সড়কটির খালে মাছ ছেড়ে দিয়ে ‘এখানে সব ধরনের মাছ চাষ করা হয়’ সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়।

সড়কটির এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কচাকাটা বাজারের কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী, কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক কচাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শতাধিক, কচাকাটা কিন্ডার গার্টেনের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ বাজারে আসা হাজার হাজার জনতার।

আরো পড়ুন:
বেনাপোলে সাংবাদিকদের নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করায় থানায় জিডি
নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা। কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার একটি মাত্র রাস্তা। যেটি বছরের পর বছর কাদা ও পানিতে ভরে থাকে। ফলে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ব্যবসায়ী সিদ্দিক, আব্দুর রশিদ, মিজানুর রহমান, রাহিমুল, আলী হোসেন, মজনুর রহমানসহ অনেকে জানান, রাস্তার এমন দশায় তাদের ব্যবসায় চরম ক্ষতি হচ্ছে। ভারি যানবাহন না চলায় তাদের বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

কেদার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, রাস্তাটির ২০০ মিটার ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধায়নে পাকাকরণ করা হয়েছে। আরও কিছু অংশ পাকাকরণের চেষ্টা চলছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, সড়কটি সরকারের কোনও বিভাগের তালিকায় নেই। ফলে নিয়মিত বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয় না। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় এডিপির বরাদ্দে কিছুটা অংশ পাকাকরণ করা হয়েছে। এডিপি এবং এলজিএসপির বরাদ্দে বাকিটা পাকাকরণের জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।

অক্টোবর ০৩, ২০১৯ at ১১:৫১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এজিএল/এএএম