সিরাজগঞ্জে চেয়ারম্যানের গো-খামারের বর্জ্যে, ২০ পরিবারে দূর্ভোগ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের নিজস্ব গো-খামারের বর্জ্যের কারনে আশপাশের অন্তত ২০ পরিবারের লোকজনকে নানা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এসব বসতবাড়ির লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটিও বর্জ্যরে কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্গন্ধের কারনে নিজেদের বসতবাড়িতেও বাস করতে পারছে না তারা।

সরজমিন জানা যায়, সয়দাবাদ ইউনিয়নের মূলিবাড়ি এলাকায় চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম তার পৈত্রিক বাড়ির পিছনে গড়ে তুলেছেন একটি গো-খামার। এই খামারের পিছনে বসবাসরত অন্তত: ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ খামারের পাশ দিয়ে তৈরী কাঁচা (মাটির) রাস্তা চলাচল করে থাকে।

খামারের নির্গত বর্জ্যে বর্তমানে ওই রাস্তাটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও এ বর্জ্যরে দূর্গন্ধের কারনে আশপাশের পরিবারের লোকজনগুলো অসহনীয় দূর্ভোগের মধ্যে জীবনযাপন করছে। ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তথ্য দিতেও শংকা বোধ করছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলো হলো- আবু সাঈদ, হাজী মজনু সেখ, আলম, বেলাল, লিখন, সবুজ, হেলাল, নিমু মোল্লা, হাসিবুল সেখ, আব্দুল হাই, ফজল মোল্লা, শামচু মোল্লা, ইউসুফ সেখ, মোন্নাফ, আব্দুল সেখ, জলিল মোল্লা, শাহজাহান সেখ।

ভুক্তভোগীরা জানান, দেড় খানেক আগে চেয়ারম্যান তার বাড়ির পিছনে গরুর খামার তৈরী করেছে। কিছু দিন হলো খামারের বর্জ্য নির্গত হয়ে রাস্তায় উপরে জমাট বেধে থাকায় ওই রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারনে এলাকায় বসবাসকারী ছাত্র/ছাত্রীসহ শতাধিক জনগনকে অন্য বাড়ির উপর দিয়ে চরম কষ্ট নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
বিথিকা বণিককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ চার দফা দাবিতে ফের উত্তাল রাজশাহী
সাংবাদিকের চোখ তুলে নেয়ার হুমকি, রাবি ছাত্রলীগ নেতা !

আত্বীয়-স্বজনারাও রাস্তার এমন অবস্থার কারনে আমাদের বাড়িতে আসতে চায় না। চেয়ারম্যানকে বলার পর, সে উপরোন্ত আমাদেরকে বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে বলেছে। যে কারনে কোন জায়গায় ভয়ে অভিযোগও করতে পারছি না।

এরআগে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য দেয়ার কারনে তার প্রতিবেশী মামুনের মুদি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের সাথে কথা বলছি জানলেও তার বাহিনীর লোকজন এসে আমাদের উপর চড়াও হবে। আমরাতো নিরূপায়। তার নির্যাতন সহ্য করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

এ বিষয়টি অবগত করার পর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার মোহাম্মদ রায়হান এ প্রতিনিধিকে জানান, শীর্ঘই সরজমিন পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯ at ১৩:২৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এআর/এএএম