বিথিকা বণিককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ চার দফা দাবিতে ফের উত্তাল রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ঘটনায় চার দফা দাবি জানিয়ে ফের আন্দোলন নেমেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন সামনে এসে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌন হয়রানি ঘটনায় বিথীকা বনিকাকে প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হওয়ায় প্রশাসন কে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর যেনও কোন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির শিকার না হতে হয় সেজন্য এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তী নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।

ভাইকে সমর্থন দেওয়ায় বিথিকা বণিককে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে পাশাপাশি আমাদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে পূরণ করতে হবে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশ শেষে উপাচার্য বরাবর চার দফা দাবি জানিয়ে প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমানের কাছে স্মারক লিপি জমা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:
সাংবাদিকের চোখ তুলে নেয়ার হুমকি, রাবি ছাত্রলীগ নেতা !
ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব, জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চার্জশীট প্রদান থেকে শুরু করে দোষীর শাস্তি নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সকল আইনি প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নজরদারি করা। যৌন নিপীড়ন ভাইয়ের পক্ষে নির্লজ্জ সাফাই গাওয়া, নিপীড়িত শিক্ষার্থী নামে কুৎসা রটানো জন্য বিথীকা বণিকাকে জনসম্মুখে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে প্রশাসন পক্ষ থেকে চাপ দেয়া। যৌন হয়রানি প্রিভেনশন সেলকে কার্যকর করতে হবে পাশাপাশি সকল বিভাগ ও ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালানো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাশনকে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর কাজলাস্থ যোজক টাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ বিথীকা বণিকের বাসায় যৌন হয়রানি শিকার হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শ্যামল বণিককে পুলিশ আটক করেছে। শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললে গত ২৭ সেপ্টেম্বরে প্রশাসন থেকে বিথিকা বণিককে তার পদ থেকে আনুষ্ঠানিক অব্যহতি দেয়া হয়।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯ at ১৩:০৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আসাস/এএএম