ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সামিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধু স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শৈলকুপা উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধু সামিয়া খাতুন কাজীপাড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও একই উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কামান্না গ্রামের মৃত আরব আলীর কন্যা। তবে সামিয়ার পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সামিয়ার ভাই আইয়ুব হোসেন জানান, ৪ বছর আগে ইদ্রিসের সাথে সামিয়ার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে জিসান নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের পর থেকেই সামিয়ার পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামী ইদ্রিস।
শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী ইদ্রিস আলী ও তার পরিবারের লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গলাই রশি দিয়ে হত্যা করে বলে ভাইয়ের অভিযোগ।
এ ঘটনার পর থেকে সামিয়ার শিশু সন্তান নিয়ে পরিবারের লোকজন সবাই পলাতক রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) ফজলুর রহমান জানান, যৌতুক দেওয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। এমনকি শুক্রবার সামিয়াকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সামিয়া খাতুন নির্যাতন সইতে না পেরে গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এসআই ফজলুর রহমান জানান।
সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯ at ১৯:০৮:৫০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/কেএল/কেএ