যবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচিতে জাতীয় শোক দিবস পালন

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, দোয়া-মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে নিয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারী সমিতি, আবাসিক হলসমূহ, সাংবাদিক সমিতিসহ অন্যান্য পেশাজীবী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ জাতির পিতার ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরো পড়ুন :

> যশোরের শার্শায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
> বেড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৮তম জাতীয় শোক দিবস পালিত

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির দ্বিতীয় তলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জাতির পিতাকে হারানোর ক্ষতি কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তারপরেও এ শোককে আমাদের শক্তিকে পরিণত করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। এ জন্য যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সরকারকে তা গ্রহণ করতে হবে।’ সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্বাবদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম। দোয়া-মোনাজাত শেষে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের (টিএসসি) সামনে স্থানীয় দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

দিনব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মোঃ ইকবাল কবীর জাহিদ, ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ড. মো. মুনিবুর রহমান, ড. মো. তানভীর ইসলাম, ড. মো. হাফিজ উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, প্রক্টর ড. হাসান মো. আল-ইমরান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আলম হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ, কর্মচারী সমিতির তত্ত্বাবধায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. রবিউল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়া কর্মসূচিতে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর ফয়সাল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. মোসাব্বির হোসাইনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আগস্ট ১৫, ২০২৩ at ১৬:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর