বেনাপোল স্কুল ছাত্রী নিহত: শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করে ট্রাক পার্কিংয়ের অভিযোগ

বেনাপোল স্থলবন্দরে রফতানি পণ্যবাহী ট্রাকের চাকায়  আনিকা খাতুন নামে  এক শিক্ষার্থী প্রান হারিয়েছে।   বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় স্কুল যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রী  বেনাপোল পৌরসভার বড়আচড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। ঘাতক চালক ও  ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ। এদিকে এ দূর্ঘটনাকে হত্যা অভিযোগ করে  ট্রাক চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদাবাজিকে অভিযুক্ত করে বিচারের  দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী। শিক্ষার্থীরাও করেছেন মানববন্ধন।
স্থানীয়রা জানান, সড়কে যানজট থাকায়  রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেটে স্কুলে যাচ্ছিলেন আনিকা। এসময়র  লাইনে দাড়িয়ে থাকা রফতানি পণ্যবাহি ট্রাকটি শ্রমিক ইউনিয়নের ইশারায় সিরিয়াল ভেঙে  দ্রুত গতিতে যাওয়ার পথে  অনিকার গায়ের উপর চাকা তুলে দেয়। এতে অতিরিক্ষ  রক্তক্ষরনে গুরুতর আহত হয় অনিকা। স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে।  সন্তান হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে অনিকার  মৃত্যুর জন্য পরিবার ও গ্রামবাসি যশোর আন্তজেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভারভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের চাঁদাবাজিতে অনিয়ম করে ট্রাক পরিচালনাকে দায়ি করেছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আজিবর রহমান জানান, গত ৬ মাসে বেনাপোল বন্দর সড়কে ট্রাক চাপায় এনিয়ে এক শিক্ষার্থীসহ ৩ জন প্রান হারিয়েছে। বন্দর সড়কে আমদানি,রফতানি পণ্যের চাপ বাড়ায় এসব দূর্ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু বন্দরের  ট্রাফিক ব্যবস্থা কোন ভাবে সন্তোষ জনক না। শ্রমিক ইউনিয়ন সুবিধা নিয়ে এসব নিয়ন্ত্রন করে। এরা অনেক সময় অর্থ আদায় করতে পরিকল্পিত যানজট সৃষ্টি করে।
নিহত ছাত্রীর বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, সড়কের বিশৃঙ্খলার কারনে তার মেয়েকে জীবন দিতে হয়েছে।
এ হত্যার তিনি বিচার চান যাতে আর কারো জীবন না যায়।
বেনাপোল পৌর কমিশনার কামাল হোসেন বলেন, এই মৃত্যুর জন্য যশোর আন্তজেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের চাঁদাবাজি দায়ি। তারা ট্রাক সিরিয়াল ভেঙে সামনে নেওয়ার সময় চাকার তলে পড়ে ছাত্রীর প্রান যায়। এসব চাঁদাবজি বন্ধ হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে ও দূর্ঘটনা কুমবে।

বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি)  কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, ছাত্রী নিহতের ঘটনায় ঘাতক চালক আটক ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।