বৃহস্পতিবার রাতে হতে পারে দুই আসামির ফাঁসি, প্রস্তুত ৮ জল্লাদ

ছবি- সংগৃহীত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হতে পারে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে। দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে আটজন জল্লাদকে। কয়েক দফায় তারা ফাঁসি কার্যকর করার মহড়া দিয়েছে।

বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী কারাগারে এক সঙ্গে দুইজনেরই ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলেও কারা সূত্র বলছে।

আরো পড়ুন :

> পাইকগাছায় রাধাকৃষ্ণের মুর্তি উদ্ধার
> চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী

কারা সূত্র মতে, গত মঙ্গলবার দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাত করেন। এর মাধ্যমে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ফাঁসির আসামি জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি দিয়ে শেষ দেখা করতে ডেকেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে আমাদের পরিবারের ৩৫ সদস্য জাহাঙ্গীরের সঙ্গে শেষ দেখা করেছেন। একই দিন সকালে ড. মিয়া মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা শেষবারের মতো দেখা করেছেন বলে শুনেছি।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের গলিত মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ অধ্যাপক তাহেরের সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এ হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। দণ্ডিতরা হলেন- বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। তবে বিচারে খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সি।

পরবর্তীতে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন।

জুলাই ২৬, ২০২৩ at ২০:২৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর