প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতির ধারক বাহক জারীগান ও জারী শিল্পীরা আজ বিলুপ্তির পথে।

দেশের প্রায় জায়গায় জারি-সারিগানের শিল্পীরা চরম অযত্নে অবহেলায়অবহেলিত ভাবে মানবেতর জীবন জাপন করছে তারা অনেকেই।তাদের মধ্যে অন্যতম, আব্দুল গফফার বয়াতী ওউসমান সর্দার ( পাইল) বয়াতী।যশোর জেলার,অভয়নগর উপজেলার,৪নং পায়রা ইউনিয়নের, বারান্দীর নিভৃত পল্লীতে জন্ম এই দুই গুনি জারী শিল্লীর।

নিজ জেলা ছাড়াও অনেক জেলা, উপজেলায় ছিল তাদের দীপ্ত পদচারনা। তাদের নাম,যশ,খ্যাতি,প্রতিপত্তি, ও সুনাম ছড়িয়ে ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আজ তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।আঃ গফফার বয়াতী সদালাপী, শ্রবণশক্তি হারিয়ে গ্রামের চায়ের দোকানে সময় পার করেন এখন। আর উসমান সর্দার নাপিত/ নরসুন্দর/ ক্ষৌরকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

আরো পড়ুন :
> অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
> পাইকগাছায় দুই মাথাওয়ালা বাছুরের জন্ম;এলাকায় চাঞ্চল্য

সাংস্কৃতি মনা সচল শ্রেনীর মানুষ একটু সহযোগিতার হাত বাড়ালেই একটু সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারতেন।জারি গান বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতরীতি। ফার্সি জারি শব্দের অর্থ শোক। মুহাররম মাসে কারবালার বিয়োগান্তক কাহিনীর স্মরণে মূলত এই গানের উদ্ভব। ১৭শ শতক থেকে বাংলায় এই গানের ধারা শুরু হয়। বয়াতি দোহারদের চারদিকে আস্তে আস্তে হাঁটে এবং বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে গান পরিবেশন করে। জারি গানে মেয়ে-পুরুষ, জীবাত্মা-পরমাত্মা, রাম-হনুমান, গুরু-শিষ্য, শরিয়ত-মারিফত, আদম-শয়তান, গণতন্ত্র-রাজতন্ত্র, সুফি-মোল্লা ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিযোগিতা হয়।

এসব বিষয় অবলম্বনে দুদল জারিয়াল প্রশ্নোত্তর আকারে গান পরিবেশন করে। গানের শেষদিকে দুদল মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উপস্থিত বুদ্ধিমতো প্রশ্নোত্তর কাটাকাটি করে, যাকে বলা হয় ‘জোটক’।অঞ্চল বিশেষে এ গানের সীমাবদ্ধতা থাকলেও কোনো কোনো অঞ্চলে এর বিষয়বৈচিত্র্য রয়েছে। মক্কার জন্মকথা, জহরনামা, সাদ্দাদের জারি, শাহজালালের জারি, সোহরাব-রোস্তমের জারি ইত্যাদির পাশাপাশি সামাজিক।

জুলাই ২২, ২০২৩ at ১৮:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জাহেহৃ/মেমহ