যশোরের চৌগাছায় দুই সন্তানের মাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার মুক্তদাহ গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। হত্যার অভিযোগে নিহতের শশুর, শাশুড়ী ও স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে, পৌরসভার বিশ্বাসপাড়ার মশিয়ার রহমানের মেয়ে ইসমত আরার সাথে উপজেলার মুক্তদাহ গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মজনুর রহমান মজনুর এগারো বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে বড় সন্তানের বয়স ৫ বছর ও ছোট সন্তানের বয়স ২ বছর।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের চাচাত ভাই মাসুম রেজা জানান, ছোটখাট বিষয় নিয়ে বোনের শশুর শাশুড়ী তাকে মারপিট করত। প্রায় তারা মেরে ফেলার হুমকি দিত। এমনকি তার আপা কয়েকবার জানিয়েছে, আমার যদি কিছু হয় তাহলে আমার শশুর-শাশুড়ী দায়ী থাকবে। ওরা আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন করে।
মাসুম রেজা আরো জানান, শুক্রবার সন্ধা ৬/৭টার দিকে মারপিটের পর শ্বাসরোধ করে আপাকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখে। ঘটনার সাথেসাথে আমরা কোন খবর পায়নি। এ দিন রাত ৯টার দিকে আমরা গ্রামবাসির মাধ্যমে খবর পাই। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
তিনি বলেন ঘরের মধ্যে বোনের লাশ পড়ে ছিল। লাশের গলায় ও শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ওই ঘর থেকে রাত প্রায় ২ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ওসি (তদন্ত) জিল্লাল হোসেন জানান, ঘনাস্থল মুক্তহাদ গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শশুর, শাশুড়ী ও স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তবে নিহত ইসমত আরাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে বলে আমরা ধারনা করছি। তদন্তের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
