ক্ষোভে ফুঁসছে সারাদেশ

ছবি- সংগৃহীত।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য অন্তত ১৯ বার তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত তাকে প্রকাশ্যে ও প্রচ্ছন্নভাবে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনা নিজেও একাধিকবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বুলেট আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরছে’। দলের নেতাকর্মীরাও তাদের প্রিয় নেত্রীকে নিয়ে একধরনের শঙ্কায় থাকেন সব সময়- সভা সমাবেশে এমন আশঙ্কার কথা বারবার সামনে আনেন শীর্ষ নেতারাও। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অতিসম্প্রতিও দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অবশেষে সেই আশঙ্কাই যেন সত্যে পরিণত করলেন রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদ।

প্রকাশ্য জনসভায় তিনি দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে’। চাঁদের এই হুমকির প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে আওয়ামী লীগ। সমালোচনার ঝড় উঠেছে সারাদেশে। দাবি উঠেছে, চাঁদকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার। অবশ্য এরই মধ্যে মামলা হয়েছে বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক, বাক, ভাব এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষেই শুধু এই স্বাধীনতাগুলো একজন নাগরিক উপভোগ করতে পারবেন। সংবিধানের ৭ (ক) ১ এর খ অনুযায়ী, ‘এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা ষড়যন্ত্র করিলে- তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।’ এবং ২ এর ক অনুযায়ী, ‘কোন কার্য করিতে সহযোগিতা বা উস্কানি প্রদান করিলে একই অপরাধ হইবে।

এর শাস্তিস্বরূপ নির্ধারিত দণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের ওপর, সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করেছেন। রাষ্ট্রদ্রোহী এই অপরাধের দ্রুত বিচার চেয়েছেন রাজনীতিবিদ এবং আইনজ্ঞরা। তাদের দাবি, একজন সরকারপ্রধানকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি রাষ্ট্রের অখণ্ডতাকে হত্যার হুমকির সামিল। এ ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহ ও ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি না হলে রাষ্ট্র, সংবিধান, গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।
গত শুক্রবার (১৯ মে) পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা বা ১০ দফা নয়। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে।’ চাঁদের এই হুমকিতে ক্ষোভে ফুঁসছে সারাদেশ। সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে ক্ষমতাসীনরা। শুধু আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনই নয়, চাঁদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজপথে সরব হয়েছে শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন।

এর আগে গত রবিবার রাত ১২টার পর পুঠিয়া থানায় আবু সাইদ চাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছেন বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই দিন শিবপুরে আবু সাইদ চাঁদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা কোনো আওয়ামী লীগারই মেনে নিতে পারবেন না। তিনি শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। অবিলম্বে তার গ্রেপ্তার চাই।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা- গতকাল তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি এ বিষয়ে পুলিশের সর্বশেষ পদক্ষেপও জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামি ধরা পড়েনি। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

বিএনপির হত্যার রাজনীতিকে প্রতিহত করার ঘোষণা : রাজনীতিকদের মতে, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নয়, তিনি একজন বিশ্বনেতা। কাজের মাধ্যমে তিনি তা প্রমাণ করে চলেছেন। তার নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে তাকে

হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের নামে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন শেখ হাসিনা সরকারকে পতনের জন্য এক দফার ঘোষণা দিয়েছেন। আর বিএনপির সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলটির জেলা আহ্বায়ক বলেন, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। আমরা অনেক শান্তি সমাবেশ করেছি। নেতাকর্মীদের বলব আর শান্তি সমাবেশ নয়, তাদের প্রতিরোধ করা হবে।

হত্যা তো দূরে থাক, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার গায়ে যদি একটা আঁচড় দেয়ার চেষ্টা করা হয় তার দাঁত কীভাবে ভেঙে দিতে হয়, কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়- আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তা জানে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা প্রায়ই হুমকি-ধমকি দেয়। সেই সূত্র ধরে বিএনপির এক নেতা সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছে। যদি দ্বিতীয়বার এই উক্তি করা হয় তাহলে দেশের জনগণকে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।

শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টা : বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি হামলার ঘটনায় ৬০ জন দলীয় নেতাকর্মী নিহত হওয়ার হিসাব পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। এসব ঘটনার বিচার না হওয়ায় যাদের প্রাণহানি ঘটেছে সেই পরিবারগুলো বিচার পায়নি এখনো। যেসব ঘটনায় মামলা হয়েছিল, তার প্রতিটিরই বিচারে সময় লেগেছে এক যুগের বেশি। কোনো কোনোটির ২০ থেকে ২৫ বছর। ১৯৮৯ সালে ধানমন্ডিতে হত্যাচেষ্টার রায় আসে ২০১৭ সালে। সময় লাগে ২৮ বছর। ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে হত্যাচেষ্টার মামলায় রায়ে সময় লেগেছে ২৫ বছর। ২০০১ সালে গোপালগঞ্জে হত্যা চেষ্টার মামলায় রায় আসে ২০১৭ সালে। সময় লাগে ১৬ বছর। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হত্যাচেষ্টার রায় আসে ২০১৮ সালে। সময় লাগে ১৪ বছর।

পঁচাত্তরে শেখ হাসিনাকে স্পর্শ করতে না পারা বুলেট তাকে অনুসরণ করছে নিরন্তর। দেশে ফেরার পর বাবার মতো তাকেও হত্যার চেষ্টা হয়েছে একের পর এক। ১৯৮৮ সালে সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে আটদলীয় জোটের জনসভা দিয়ে শুরু। শেখ হাসিনার ট্রাক মিছিলে সশস্ত্র হামলায় পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে নিহত হন ২৪ জন। এদের মধ্যে ৯ জনের মতো নিহত হন শেখ হাসিনাকে মানববর্ম তৈরি করে রক্ষা করতে গিয়ে। ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্য রাতে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে। ’৯১ সালে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে গুলি করা হয়।

তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলি করা হয়। অসংখ্য গুলি লাগে তার বগিতে। ’৯৫ সালে রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে হামলা, ’৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হামলা, ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে রাখা, ২০০১ সালে খুলনার রূপসায় বোমা পুঁতে রাখা, ২০০১ সালে সিলেটে হামলার আগে বিস্ফোরণ, ২০০২ সালে নওগাঁর বিএমসি কলেজে হামলা, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পথ আটকে হামলা, ২০০৪ সালে বরিশালের গৌরনদীতে হামলা করা হয়।

ওই বছরের রক্তাক্ত ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। নেতাকর্মীদের মানববর্মে শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান। ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী সময় কারাবন্দি থাকা অবস্থায় খাবারে বিষ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই খাবার খেয়ে তার চোখ-মুখ ফুলে গিয়েছিল এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ ব্যাপারে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করার চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত। ১৯ বার তাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করা হয়েছে। জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ছিল- যে কারণে আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন।

রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড : দণ্ডবিধির ধারা ১২৪ এর ‘ক’ মতে, যখন একজন লোক তার কথায় বা তার কোনো লেখায় বা তার দ্বারা ব্যবহিত কোনো প্রতীক/ইঙ্গিত/চিহ্ন দ্বারা সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ বা বৈরিতা সৃষ্টির চেষ্টা করে তখন সেই লোক রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছে বলে আইনত ধরে নেয়া হবে। প্রকাশ্য জনসভায় সরকারপ্রধানকে হত্যার হুমকিকে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, এটি সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এসব হুমকি নতুন কিছু নয়, পুরনো বিষয়। এর আগেও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর ও মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সভাপতি মো. মমতাজউদ্দীন ফকির ভোরের কাগজকে বলেন, সংবিধানের ৭ (ক) ১ এবং ২- দুটি ধারা ভায়োলেশন হয়েছে। এটি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নুর দুলাল ভোরের কাগজকে বলেন, এটি ফৌজদারি অপরাধ। কাউকে হত্যার হুমকি দেয়াই অপরাধ; আর সরকারপ্রধানকে হত্যার হুমকি তো সীমাহীন অপরাধ। শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং অখণ্ড বাংলাদেশের প্রতীক। তাকে হত্যার হুমকির রাষ্ট্রের ওপর আঘাত। একাত্তর থেকে হত্যার রাজনীতি শুরু। পঁচাত্তরে তারা সফল হয়েছে। এখন শেখ হাসিনার ওপর বারবার হুমকি এসেছে। এদের দ্রুত বিচার করে কঠিন শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।

এদিকে এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না বিএনপি নেতারা। টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। জানতে চাইলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, জানি না তো। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম, তাই জানি না।

তিনি আরো বলেন, যে বিএনপি নেতা হত্যার হুমকি দিয়েছে- আমরা বলেছি তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাই না। যদি চাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐ ব্যক্তিকে পিটিয়ে রাস্তায় শায়েস্তা করতে পারে। কিন্তু আমরা সেটা করতে চাই না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে আমরা তার শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।

মে ২৩, ২০২৩ at ১০:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর