অভয়নগরে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অধিকাংশ কালভার্ট গুলো নষ্ট হয়ে যানবাহন ও জন মানব চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে গেছে। শিল্পওবানিজ্য শহরের আশেপাশের বাজার গুলোর ব্যবসায়ীদের ব্যবসার কাজে ব্যবহারের ফলে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মাুনষও যানবাহন চলাচলের রাস্তাগুলোর অবস্থা চরম খারাপ ওবেহাল অবস্থা। দেখার কেউ নেই বললে ভুল হবেনা। ফলে চলাচলের জন্য চরম দূর্ভোগে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ভৈরব সেতুর ওপার ভৈরব নদের কোল ঘেঁষে মধ্যপুর, শংকরপাশা থেকে নগর দেয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে বিভিন্ন ঘাট তৈরি করেছে। সে সব ঘাটে কয়লা, বালু, সারসহ বিভিন্ন মালামাল ড্যাম্পিং করে বিক্রি করে থাকে। ফলে ওই সব ড্যাম্পিং থেকে প্রতিদিন শতশত ভারি যানবাহন ১০ চাকা বিশিষ্ট ট্রাক লোডওআনলোড হয়।
যে সব ট্রাক লোড ৪৫/৫০ মেঃ টন মালামাল ওজনসহ গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তায় চলাচলের কারণে রাস্তা গুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে ঐ সব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ব্যাপক দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সাধারণ পথচারী। এ সব রাস্তা ২/৩ টন ওজনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ভারি যানবাহন চলছে অহরহ প্রতিদিন।এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, নওয়াপাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপটে নিজেদের সুবিধার জন্য স্থানীয় কিছু অসাধু প্রভাবশালী নেতাদের মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে হাত করে রেখেছে। ফলে সাধারণ মানুষ কেউ রাস্তা গুলোর বেহাল দশার প্রতিবাদ করতে গেলেই তার উপর জীবন নাসের হুমকিসহ নানা ধরনের বিপদ নেমে আসে।
যে কারণে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনা, সব নির্যাতন সাধারণ মানুষ নিরব কান্নার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ছাড়া যেন করার কিছু নেই।উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভৈরব সেতুর ওপার দক্ষিণ দেয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চলাচলের অনুপযোগী কালভার্টের উপর দিয়ে ভারি ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে কালভার্ট ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যবসায়ী প্রভাবশালীদের সুবিধার্থে ভাঙা কালভার্টের নিচে কতিপয় ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে ইটের গাঁথুনি দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, গ্রামে ছোট ছোট রাস্তাগুলোতে ভারি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হলেও নওয়াপাড়া ব্যবসায়ীদের কিছু যায় আসেনা, তাদের ব্যবসা চলতেই হবে। অন্যদিকে ঐ সব অঞ্চলে কয়লা, বালু, সারসহ সকল মালামালের ড্যাম্প আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষের শ্বাস কষ্ট জনিত রোগ বেড়ে চলেছে। এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা দাবি করে জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে ব্যবসায়ীদের ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধসহ কর্তৃপক্ষের নিদিষ্ট ধারণ ক্ষমতার মধ্যে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। অন্যথায় আমাদের বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।স্হানীয় বাসিন্দা ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন এ কালভার্টটি ১৯৮৭সালে নির্মিত হয়েছিল এসময় এ৫নং শ্রীধরপুর ইইনিয়নে এটা সহ মোট ১২টি কালভার্ট নির্মিত হয়েছিল, এর মধ্যে সবচেয়ে দক্ষিণ দেয়াপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ এ কালভার্টটি ১০চাকার ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। তবে দ্রুত এ সড়কটি হওয়ার সময় কালভার্ট ঠিক করে দেবে বলে জানি।
সপ্তাহখানেক আগে অভয়নগর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে কালভার্টটিপরিদর্শন করে গেছে।৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল্লাহ জানান, ভারি ভারি যানবাহন ট্রাকগুলো ধারণ ক্ষমতার অধিক বহন করে চলাচলের কারণে আমার এলাকার একটি রাস্তা দিয়েও সাধারণ মানুষ চলতে পারেনা, এলাকা ধুলাবালিতে সয়লাব, ঐ সব রাস্তাগুলোর সাথে পানিসরা কালভার্ট গুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান খুব তাড়াতাড়ি রাস্তার কাজ শুরু হলে ঐ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ লাঘব হবে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এম. ইয়াফি’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভৈরব সেতু সংলগ্ন কালভার্টটির অবস্থা নাজুক,তবে খুব শিঘ্রিই ব্রীজের পুর্বমাথা থেকে রাস্তার কাজ হবে তখনি ঐ কালভার্টের কাজও করা হবে।
মে ১৩, ২০২৩ at ১৭:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জাহেহৃ/মেমহদ