বেড়া মডেল থানার চিত্র পাল্টে দিলেন ওসি আসাদুজ্জামান

থানা মানেই টাকা। টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না। এমন ধারণা জনসাধারণের। তবে জনসাধারণের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন বেড়া মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ । এ থানায় সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন।

থানায় যোগদানের পর থেকেই কমে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। প্রাথমিক অবস্থায় দালালদের সতর্ক করে থানায় তদবিরের জন্য না আসতে বলে দিয়েছেন তিনি। সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। জিডি করতেও এখন আর টাকা লাগছে না থানায়। নারী-পুরুষ সবাই অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করছেন ওসির রুমে।

পাবনার বেড়া মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার আট মাসের মাথায় জনগণের প্রত্যাশা প্রায় শতভাগ পূরণ করেছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। সন্ত্রাস, মাদকের আখড়া বলে পরিচিত থানা এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত। ইতোমধ্যে কর্মদক্ষ ওসি হিসাবে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে। এর আগেও তিনি সন্ত্রাস, মাদক নিমূল কাজে বিষেশ ভ‚মিকা পালন করায় তাকে বিশেষ পুরস্কার দেন জেলা পুলিশ। তাছাড়াও বিভিন্ন থানা থেকে ভালো কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন।

বেড়া থানা অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এ থানা এলাকা একটা সময় সন্ত্রাসী এবং চরমপন্থী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে সারাদেশে পরিচিত ছিল। সন্ধ্যার পর কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারেতন না।এখন নিদ্বিধায় চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।সানিলার দীর্ঘদিনের দাঙ্গা, সিএন্ডবিতে চাঁদাবাজি, কোলঘাট দখল বে-দখল নিয়ে মারামারি এবং পায়না
এলাকায় নিত্যদিনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর নেই। সকলে শান্তিতে বসবাস করছেন সবাই।

আরো পড়ুন :
>> রাজাপুরে ১২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৩৬ কিলোমিটার সড়ক উদ্বোধন
>> জাতিয় পর্যায়ে ট্রিপল জাম্পে খুলনার মেয়ে তমার সাফল্য

গেল বছরের জুনে পাবনার বেড়া মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন আসাদুজ্জামান । তার যোগদানের পরই যেন রাতারাতি পাল্টে গেছে বেড়া থানার দৃশ্যপট। থানার ভেতরে বাইরে পরিবর্তন লক্ষণীয়। মাদ্রক সম্রাট-সম্রাজ্ঞীরা এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। পাড়ায় পাড়ায় জুয়ার আসরও উধাও।ভেঙে দেওয়া হয়েছে চাঁদাবাজদের সিন্ডিকেট

বেড়া পৌর এলাকার আল আমিন বলেন,বেড়া থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এত সুন্দর কর্মযজ্ঞ কখনো দেখিনি। থানার বর্তমান কাজ দেখে মনটা ভরে যায়। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়ে যায়। চাকলা গ্রামের সাকলায়েন বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে এ ওসির ভ‚মিকা প্রশংসনীয়। আগে থানার ভেতরে ঢুকতে অনুমতি নিতে হতো। অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এখন কোনো হয়রানির শিকার হতে হয় না। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সেবা প্রার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য থানার সকল অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন এই থানায় আছি জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।

মার্চ ১৬, ২০২৩ at ১৯:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হার/শাস