গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে নওমুসলিম পুত্রবধূর মামলা

গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেছেন এক নওমুসলিম নারী। বৃহস্পতিবার শহরের বেজপাড়া পূজার মাঠ এলাকার অনিমেষ মজুমদারের মেয়ে নওমুসলিম জান্নাতুল ফেরদৌস নিশা।

অতিরিক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী তাহমিদ আকাশ।

আসমিরা হলো, শার্শার গোকর্ণ গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী মালেকা খাতুন ও ছেলে মিনহাজুল আবেদিন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জান্নাতুল ফেরদৌস নিশা ভালো বেশে আসামি মিনহাজুল আবেদিনকে বিয়ে করবেন বলে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

২০২২ সালের ১ জুলাই ইসলাম ধর্ম মতে মিনহাজুল নওমুসলিম নিশাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে নিশা তার স্বামীর বাড়িতে সংসার করে আসছিলেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন অনুভব করায় ডাক্তারি পরীক্ষা করে বিষটি নিশ্চিত হন।

এতে অসন্তষ্ট হয়ে নিশার শাশুড়ি মালেকা খাতুন গর্ভের সন্তান নষ্টের নির্দেশ দেন। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি নিশার স্বামী মিনহাজুল তার মায়ের কথা মত ফার্মেসি থেকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার ওষুধ কিনে আনেন।

এ ওষুধ খেতে বললে নিশা খেতে না চাওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ি তাকে জোর করে খাওয়ায়ে দেন। পরদিন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ৭ জানুয়ারি নিশাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করে গর্ভের সন্তানের বয়স তিন মাস বলে তিনি নিশ্চিত হন।

গর্ভের সন্তান নষ্ট না করলে তাকে নিয়ে ঘর করবে না বলে জানিয়ে দেন তার স্বামী ও শাশুড়ি। বিষয়টি নিশা তার বাবা ও মাকে জানান।

এক পর্যায়ে আসামিরা জোর করে হাসপাতাল থেকে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে আসামিরা। এ বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করলে খুন জখমের হুমকি দেয়া আসমিরা। পরে নিশা কিছুটা সুস্থ্য হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।