মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ প্রতারণা

ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে নগদ আট লাখ টাকা ও ৭৯ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়ার অভিযোগে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার মল্লিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা মামলা করেছেন আপন বোন।

বৃহস্পতিবার মণিরামপুরের পাচকাটিয়া গ্রামের মৃত কালীপদ মল্লিকের মেয়ে কল্পনা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি প্রবীর কুমার মল্লিক পাচকাটিয়া গ্রামের মৃত কালীপদ মল্লিকের ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজে কম্পিউটার অপারেটর পদ শুন্য হলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মানস কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সীমা মল্লিককে এ পদে নিয়োগের জন্য অধ্যাক্ষের কাছে সুপারিশ করেন কল্পনা রানী বিশ্বাস। অধ্যক্ষ প্রবীর কুমার এ পদে চাকরির জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করে তার কাছে।

তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে তিনি অধ্যক্ষকে নগদ চার লাখ টাকা ও বাকি এক লাখ টাকার জন্য তিনি তার কাছে ৪০ শতক জমি বন্দক রেখে দেন তিনি।

২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ একটি নিয়োগপত্র দিয়ে তাকে ১ অক্টোবর কলেজে যোগদান করতে বলেন। এরমধ্যে বন্দক রাখা জমির এক লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় তিনি জোর করে তার ৪০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে করে নেন।

শিক্ষানবীশ কাল শেষ হলে অধ্যক্ষের কাছে এমপিও করার অনুরোধ করলে তিনি প্রতি মাসে এক হাজার টাকা হিসেবে যাতায়াত খরচ বাবদ দেয়া হবে বলে জানিয়ে স্থায়ী নিয়োগে কোন অসুবিধা হবেনা বলে জানান।

সাত বছর চাকরি করার পর অধ্যক্ষ ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে সীমা ও তার শাশুড়ি কল্পনা রানীকে ডেকে অধ্যক্ষ আরও চার লাখ টাকা দাবি করেন এমপিও করতে। এরপর এ টাকা যোগাড় করতে অধ্যক্ষের নামে ৩৯ শতক জমি ২ লাখ টাকা দাম ধরে তিনি লিখে নেন। বাকী ২ লাখ টাকা তিনি ধার-দেনা করে জোগাড় করে অধ্যক্ষকে দেন।

অধ্যক্ষ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সীমা মল্লিকের চাকরি স্থায়ী ও এমপিও করে দিবেন বলে নিশ্চয়তা দেন। এরমধ্যে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে অধ্যক্ষ অবসরে চলে গেছে বলে জানতে পারেন কল্পনা মল্লিক। পরে তিনি কলেজে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সমী মল্লিককে দেয়া নিয়োগ পত্রটি ভুয়া। অফিসে কোন ডকুমেন্ট নেই। আসামি ৮ লাখ টাকা ও ৭৯ শতক জমি লিখে নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে এ টাকা ও জমি আত্মসাত করেছেন।