ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কারণে শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন-বিল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত

যশোরের চৌগাছা উপজেলার মাড়–য়া ইউসুফ খান স্কুল অন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থাকা সহকারি প্রধান শিক্ষকের ঘাড়তাড়ামির কারণে সকল শিক্ষক-কর্মচারিদের একমাসের বেতন-বিল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত চলে গেছে। সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারিরা বেতন না কষ্টে দিনযাপন করছেন। বেতন-বিল দ্রæত সময়ে ফেরত পাওয়ার দাবি করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাড়–য়া ইউসুফ খান স্কুল অন্ড কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি আজাদ রহমান খান। গত কয়েকমাস তিনি শিক্ষাবোর্ড থেকে নিয়মিত কমিটির সভাপতি হিসেবে অনুমোদন পান। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে সভাপতি হিসেবে মেনে নেননি।

আজাদ রহমান খানকে বেতন-বিলে স্বাক্ষরসহ কোন কার্যক্রম করতে দেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে তার স্বাক্ষরে প্রতিষ্ঠানের বেতন-বিল উত্তোলন করতেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাই বিষয়টি অবগত হন। তারপর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেতন-বিলে স্বাক্ষর করা বন্ধ করে দেন। সভাপতি আজাদ রহমান খানের স্বাক্ষরে বেতন-বিল উত্তোলনের মতামত দেন সবাই। কিন্তু কোনভাবেই সভাপতিকে মেনে নিচ্ছেন না।

বেতন-বিলে আজাদ রহমান খানের স্বাক্ষরও নেননি। সেইজন্য জানুয়ারি মাসের বেতন-বিল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত চলে গেছে। বেতন না পেয়ে শিক্ষক কর্মচারিরা বেশ কষ্টে আছেন। তারা দ্রæতই বেতন ফেরত পাওয়ার দাবি করেন। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) সুজা-উদ-দৌলার উচ্চতর স্কেল ও সহকারি শিক্ষক (তথ্য ও গ্রন্থাগার) রেশমা খাতুনের এমপিও আবেদন করছেন না তিনি।

কারণ উচ্চতর স্কেল ও এমপিও আবেদন করার জন্য সভাপতির রেজুলেশনের প্রয়োজন হয়। আজাদ রহমান খানের কোন কার্যক্রম করতে দেবেন না বলে তিনি এটা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক সুজা-উদ-দৌলা বলেন, তার মাত্র দেড়মাস চাকরি আছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘাড়তাড়ামির কারণে তিনি উচ্চতর স্কেল বঞ্চিত হলেন। আজাদ রহমান খানকে সভাপতি হিসেবে কোন কার্যক্রম করতে দিচ্ছেন না। সভাপতির স্বাক্ষর নিতে হবে বলে তিনি বেতনও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:
> ভূঞাপুরে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
> পণ্যের মূল্য বাড়লেও মানুষের মূল্য বাড়ে না

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রতিষ্ঠানের পূর্বের সভাপতি তবিবর রহমান খানের সাথে বলতে বলেন। যা কিছু করা হচ্ছে সব তার নির্দেশনা মোতাবেক। বর্তমান সভাপতি আজাদ রহমান খান বলেন, আমি মাড়–য়া ইউসুফ খান স্কুল অন্ড কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি। যশোর শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে কোন কার্যক্রম করতে দিচ্ছেন না। সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারিরা বেতন না পেয়ে বেশ দুঃচিন্তায় আছেন।

ফেব্রুয়ারি ২৭,২০২৩ at ২১:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিফা/সুরা