জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একই ভিকটিমকে প্রথমে ছেলে এবং পরে বাবা ধর্ষণ করেছে। এঘটনায় দুই জনকে আসামি করে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। গত ১৫ (ফেব্রুয়ারী) ভিকটিমের মা উপজেলার গোপালপুর (নশিরপুর) গ্রামের মেরিনা বেওয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলায় আসামি দুজন হলেন, ১. ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের গোপালপুর (নশিরপুর) এলাকার আজিজুল এর ছেলে রতন মিয়া (২৫), ২. মৃত ছমির উদ্দীনের ছেলে আজিজুল (৪৫)।
এঘটনায় আদালতের নির্দেশক্রমে গত ২৫ (ফেব্রুয়ারী) শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ১নং আসামি রতন মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত ওই আসামিকে আদালতে প্রেরন করা হয়। পাশাপাশি একই দিনে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেছ থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামি রতন ও আজিজুল দুজনার মধ্যে সম্পর্ক বাবা ও ছেলের। অপরদিকে মামলার বাদীনির সাথে আসামি রতন এর সম্পর্ক নাতী এবং আজিজুল জামাই। সেই সূত্রে আসামি রতন ভিকটিমের ভাগিনা এবং আজিজুল বোন জামাই। বাদী ও বিবাদীর বাড়ি একইগ্রামে। গত ৯ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ টার সময় ভিকটিম তাঁর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বাড়িতে কেউ না থাকায় আসামি রতন পিছন থেকে ভিকটিমকে জড়িয়ে ধরে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করে। ভাগিনার এমন কর্মকাণ্ডে ভিকটিম লজ্জায় ও ভয়ে বাহিরে কথাটি প্রকাশ না করে, রতনের বাবা আজিজুলকে বিষয়টি জানায়। পরে আজিজুল তাকে বলে যার সাথে সম্পর্কে হচ্ছে না সেই যখন সব পেয়ে গেছে আমি কেন বাদ জাবো বলে আজিজুলও জোর করে ভিকটিমের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে। এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়।
আরো পড়ুন:
>মহম্মদপুরে অপরিকল্পিত হাট বাজার যানবাহনসহ, জনসাধারণের দূভোর্গ ও দূর্ঘটনার কারণ
>গাবতলীর দুর্গাহাটায় দুঃস্থ্যদের মাঝে চাল বিতরন
সেইসাথে রতন ভিকটিমের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে বলে ব্লাকমেইল করতে থাকে। এঘটনায় ওই ভিকটিম নিরুপায় হয়ে তাঁর মাকে বিষয়টি জানলে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে।
এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, আদালতে ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে মামলার ১নং আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ২৬.২০২৩ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর
