ঠাকুরগাঁও-৩ উপ-নির্বাচনে ১৪ দলীয় প্রার্থীসহ জামানত হারালেন ৪ প্রার্থী

ঠাকুরগাঁও- ৫/-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপ-নির্বাচন গত ১ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ১২৮ টি কেন্দ্র ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দীন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোপাল চন্দ্র রায় (স্বতন্ত্র) একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯টি ভোট।

এদিকে মোট ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে এই উপ-নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন প্রার্থী। জামানত হারানো প্রার্থীদের তালিকায় আছেন ১৪ দলীয় জোটের মনোনীত হাতুড়ি প্রতীক প্রার্থী ইয়াসিন আলী তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫৬, জাকের পার্টির প্রার্থী এমদাদুল হক গোলাপ ফুল প্রতীকে ২ হাজার ২৫৭, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী সাফী আল আসাদ আম প্রতীকে ৯৫৩ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম টেলিভিশন প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮২ ভোট। সর্বনিম্ন ভোট পেয়ে আইন অনুযায়ী জামানত হারিয়েছেন এ ৪ প্রার্থী।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাবউদ্দিন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে রাণীশংকৈল নির্বাচন কর্মকর্তা নূর-ই-আলম বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে জামানত রাখতে হয়। আইন অনুযায়ী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।

১৪–দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন আলী জামানত হারানো এবং এমন পরাজয়ের পেছনে জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের ওপর অনেক বেশি ভরসা, নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অসহযোগিতা ও আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংকে ফাটল এই তিন বিষয় কাজ করেছে বলে মনে করছেন ভোটার ও স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলার নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, ১৪–দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন আলীকে ভোটাররা এবার গ্রহণ করতে চায়নি আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। এছাড়াও সতন্ত্র প্রার্থী গোপাল চন্দ্র নির্বাচন করায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটগুলোর সিংহভাগ ভোট পড়েছে তার পক্ষে।

প্রসঙ্গত: ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ১১৮টি কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৪১ ভোটার ছিলেন। কিন্তু ভোট পড়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৩৪ টি। সেই হিসাবে ভোট কাস্ট হয়েছে শতকরা ৪৬ দশমিক ২৯ ভাগ, যা মোট ভোটের তুলনায় খুবই অর্ধেকেরও কম। জামানত হারানো এসব প্রার্থীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, অনেককে ফোনে পাওয়া যায়নি।

ফেব্রুয়ারি ০৫.২০২৩ at ২১:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/মম/এসআর