লালপুরে ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্থ জনজীবন

নাটোরের লালপুর উপজেলায় গত তিন দিন থেকে ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছ শীত।

উত্তরাঞ্চলের নাটোরের লালপুর উপজেলায় গত তিন দিন থেকে ঘনকুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছ শীত। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতের কামড়ে কাঁপছে উপজেলাবাসী। মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারী) দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল থেকেই সর্বত্র ঘনকয়াশার চাদরে ঢাকা ছিলো। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় অচল হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। পৌষের মাঝে এই ঘনকুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে উপজেলাতে জেঁকে বসেছে শীত।

গরম কাপড় ছাড়া সাধারণত কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। ঘরের মধ্যে শীতে জবুথুবু অবস্থা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঘণকুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক গুলিতে গণপরিবহ ছিলো কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাজারে আসতে দেখা যায়নি। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ঈশ্বরদী ও তার আশে পাশের এলাকার তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় ১২.৫ ডিগ্রী সেন্সিয়াস।

উত্তরঅঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যার কারনে ঘণকুয়াশা ও বাতাসে শীত বেশি অনুভত হচ্ছে।’ এদিকে শীত জেঁকে বসায় গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলেছে। দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারনে খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে ভ্যান-রিক্সা শ্রমিক ও কৃষক-কৃষানীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
>জনগণের আস্থা অর্জন করেছে পুলিশ: প্রধানমন্ত্রী
>বিজিবি সদস্য নিজ অস্ত্রের গুলিতে আত্মহত্যা

কনকনে ঠান্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে এ উপজেলার পদ্মানদী বিধৌত চরাঞ্চলের জনগণ শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে। অনেকেই রান্নার চুলায় অথবা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেছেন, উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার ৩শ ৯০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

জানুয়ারি ০৩.২০২৩ at ১৫:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর