বিএনপির টাকা পাচার খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন যে, তারেক রহমান লন্ডনে বসে শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের কত টাকা পাচার করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা খতিয়ে দেখছেন। এই টাকা উদ্ধার করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সমাবেশ কর্মসূচি দিয়ে ৭ দিন আগে থেকে প্রচার করে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সরকার বাধা দিচ্ছে। আর কাঁথা-বালিশ, হাড়ি-পাতিল, চালের বস্তা, সঙ্গে টাকার বস্তা এবং মশার কয়েল নিয়ে সমাবেশস্থলে যায়। কুমিল্লায় তো কেউ বাধা দেয়নি! পরিবহনও বন্ধ ছিল না। ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর থেকে ৬ তারিখে এসেছে। শুধু বিএনপির সমাবেশ করার স্বার্থে শেখ হাসিনা এটা করেছেন। খেলা হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাল্টাপাল্টি আমরা করবো না। আমরা শান্তি চাই।

আরো পড়ুন:
>প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে চায় জিপিএ ৫ পাওয়া ভাঙ্গুড়ার মোহনা রানী
>ধ্বংসের মুখে ২ জমিদার বাড়ি, সংরক্ষণ হলে বাড়বে দর্শনার্থী

আমরা ক্ষমতায় আছি, ক্ষমতায় থেকে আমরা কেন অশান্তি সৃষ্টি করবো! মানুষকে কেন আতঙ্কে রাখবে? আমরা তো মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। অশান্তি হলে তো আমাদের সেখানে মাথা ঘামাতে হবে। সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজশাহীকে বলেছি কোথাও গাড়ি বন্ধ হবে না। ঢাকায়ও পরিবহন বন্ধ হবে না।

এরপর যদি আগুন নিয়ে, লাঠি নিয়ে নামেন তাহলে সরকার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করবে। আমরা ক্ষমতায় আছি তাই আমরা ক্ষমতায় থেকে দেশে কোনো অশান্তি চাই না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাস্থল, মুক্তিবাহনী, মিত্রবাহিনীর কাছে যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উনারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি না- মুক্তিযুদ্ধকে আসলে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনলে এদের অন্তরে জ্বালা, মুখে বলে না। বিএনপির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আবারও বলতে চাই, পরবর্তী নির্বাচনে আসুন। ফখরুল গতকাল সরকারকে সেফ এক্সিট নিতে বলেছেন। আমি বলতে চাই, নিরাপদ প্রস্থানের একমাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচনেই প্রমাণ হবে কারা বিজয়ী হবে আর কাদের পতন হবে। সরকার পতনের হাঁক-ডাক দিয়ে কোনো লাভ নেই।

মির্জা ফখরুলের মুখে মধু আর অন্তরে বিষ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি তিনি বলেছেন সেইফ এক্সিট করতে। আমরা তাকে বলছি, নির্বাচনই হবে সেইফ এক্সিটের একমাত্র পথ। কোনো চোরা রাস্তায় ক্ষমতায় যাওয়ার বাসনা করবেন না।

ডিসেম্বর ০১, ২০২২ at ১৭:০১:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস