যশোর বোর্ডের হিসাব সহকারী সালাম চাকরিচ্যুত

যশোর শিক্ষাবোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালামকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আব্দুস সালাম চাকরিচ্যুত হয়েছেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বরখাস্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, হিসাব সহকারী আব্দুস সালামকে শিক্ষাবোর্ডের এসটিডি হিসাব নম্বর ২৩২৩২৪০০০০০২৪ খাতের ভ্যাট, ট্যাক্স বাবদ ইস্যুকৃত নয়টি চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা দুর্নীতি, চুরি, আত্মসাৎ ও তহবিল তছরুপের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সালাম ওই নোটিশের জবাব দেন, যা সন্তোষজনক মনে করেনি শিক্ষাবোর্ড।

বরখাস্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, আব্দুস সালাম দ্বিতীয় দফার কারণ দর্শানোর জবাব না দিয়ে সময় প্রার্থনা করেন, যা বিধিসম্মত না। এসব কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ রয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা সূত্র জানিয়েছেন, ২০২১ সালের বিভিন্ন সময় যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৩৮টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় সাত কোটি টাকা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করে। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম অন্যতম।

আলোচিত এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। গত ডিসেম্বরে তিনি বদলি হওয়ার পর নতুন উপপরিচালক হিসেবে মো. আল আমিন যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি মামলাটি তদন্ত করছেন।

হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম লিখিতভাবে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি দুই দফায় ৩১ লাখ টাকা ফেরত দেন। গত ৭ ফেরুয়ারি জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকতৃাদের উপস্থিতিতে সালামের তালাবদ্ধ কক্ষটি খোলা হয়। তখন আলমারিতে জাল চেক, সিল ও প্যাড পাওয়া যায়।

জুলাই ১৫,২০২২ at ১১:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বক/রারি