ই নথির মধ্য দিয়ে নতুন কিছু গ্রহণ করতে হবে- উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেছেন, ই নথির মধ্য দিয়ে নতুন কিছু গ্রহণ করতে হবে।

শনিবার (১১জুন) পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ই নথি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মকর্তাদের একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে। দুইদিনব্যপী কর্মশালার আজ প্রথম দিন। সকাল ৯ টায় ই নথি কর্মশালাটি উদ্বোধন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এ কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. খায়রুল আলম।

রিসোর্স পারসন হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি বিভাগের ড. মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম। অতিথি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন উদ্বোধনী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ই নথির মাধ্যমে সহজেই তথ্য এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। এতে দ্রুত ও সহজে কাজটি সম্পাদন করা যায়। তিনি বলেন, নতুন কিছুকে আমাদের গ্রহণ করতে হবে।

আরো পড়ুন :
ই নথির মধ্য দিয়ে নতুন কিছু গ্রহণ করতে হবে- উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন
মণিরামপুরে ফুটবল খেলতে যেয়ে হাটুতে আঘাত : দশম শ্রেনীর ছাত্রের মৃত্যু

সবার মধ্যে শেখার মানসিকতা পোষণ এবং অর্জিত জ্ঞানকে সবার মধ্যে বিতরণ করতে হবে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে প্রশিক্ষিত করার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। কাজের মাধ্যমে আমাদের অন্যদের কাছে রোল মডেল হতে হবে।

উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, বিশ্বব্যাপী নয় এগারোর পর ই নথিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। পরিবর্তনের সাথে সাথে আামাদের খাপ খাইয়ে চলতে হবে। তারণ্যের বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনের মধ্যে ধারণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান আমাদের বেতন ভাতা দিচ্ছে, সেই সাথে আমাদের সামাজিক মর্যাদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আামাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

ই নথি হলো কাগজহীন অফিস ব্যবস্থাপনা। এর মধ্য দিয়ে অফিসের কাজ যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি কাজেও গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। ই নথি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সরকারের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালে ই নথি কার্যক্রম শুরু হয়।

আজকের প্রশিক্ষণে ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাবে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি সম্পন্ন হয়।

জুন ১১,২০২২ at ১৫:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মিতা/রারি